রূপপুরে দুর্নীতি ৬২ কোটি টাকা, দায়ী ৩৪ প্রকৌশলী: তদন্ত

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও উঠানোয় ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে সরকারি তদন্তে উঠে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2019, 03:53 PM
Updated : 17 Oct 2019, 09:13 AM

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেই দুর্নীতির এই চিত্র দিয়ে এর জন্য ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়েছে।

হাই কোর্টের নির্দেশে গত সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দুটি প্রতিবেদনই জমা দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; সেগুলো রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।

আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। রিটকারী পক্ষে ছিলেন সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও উপস্থিত ছিলেন।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্প’র নির্মাণাধীন ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও উত্তোলন কাজে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়ম হয়েছে।

“এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী চারটি ভবনের আসবাব ও ইলেক্ট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ কাজের জন্য ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।”

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাবনা ও রাজশাহীর পূর্ত বিভাগের ৩৪ জন প্রকৌশলীকে এই দুর্নীতির জন্য দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। 

অপর তদন্ত প্রতিবেদনেও দুর্নীতির একই হিসাব দিয়ে এই কর্মকর্তাদেরই দায়ী করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না তা জানাতে পারেননি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আসবাবপত্রসহ সরঞ্জাম কেনাকাটায় ‘দুর্নীতির’ বিচার চেয়ে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বালিশ বিক্ষোভ’। অভিযোগ উঠেছে সেখানে প্রতিটি বালিশ কেনা হচ্ছে ৬ হাজার টাকায়।

রোববার আদালতে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর রিটকারী আইনজীবী সুমন বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চান।

তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক তারিক উল হাকিম বলেন, “যেহেতু দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে তাই আমরা অপেক্ষা করে দেখতে চাই, কী ব্যবস্থা নেয়। নিশ্চই সরকার ব্যবস্থা নেবে। দেখি কী হয়...।”

তখন ওই আইনজীবী বলেন, “তার জন্য তো আমরা অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করতে পারি না। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ থাকলেও বলা নেই কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা বলা নেই।

“তাছাড়া এ দুর্নীতিতে প্রত্যক্ষ ভিকটিম না থাকলেও রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা তারা আত্মসাৎ করেছে। কেবল বিভাগীয় ব্যবস্থাই যথেষ্ট না। দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা আদালত দিতে পারে।”

এ সময় আদালত দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, “প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে সময় দেওয়া প্রয়োজন। দুই মাস সময় অন্তত দেওয়া হোক।” 

পরে আদালত আগামী ২০ অক্টোবর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন রাখেন।

রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন-২) মো. মুনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে আরও দুজন সদস্য কো-অপ্ট করা হয় ওই কমিটিতে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রবিউল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এম এইচ এম শফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশ্রাফুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের গণপূর্ত অডিট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন, গণপূর্ত প্রকল্প বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান মো. নজরুল ইসলাম।

এছাড়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মঈনুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতেও পরে আরও দুজনকে কো-অপ্ট করা হয়।

এই কমিটির সদস্যরা হলেন- গণপূর্ত বিভাগের গণপূর্ত অডিট অ্যান্ড মনিটরিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাঈদ মাহবুব মোরশেদ, গণপূর্ত পেকু সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফিরোজ হাসান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারিকুল আলম ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল হাফিজ।

দুটি কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে এসেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “তদন্ত কমিটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের সিডিউলে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আসবাবের আইটেম দর নির্ধারণ করে। কিন্তু অনুমোদনকারী কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যে দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত সিডিউলের বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের কথা বললেও দেখা যায় তারা কিছু বিষয় যেমন- শ্রম, পরিবহন, সানড্রি এবং উঠানো বাবদ অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক মূল্য ধরেছেন বলে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

“আসবাব পরিবহন এবং বিভিন্ন তলায় উঠানো ও সেটিং গণপূর্ত অধিদপ্তরের রেট সিডিউল-২০১৮ এ অন্তর্ভুক্ত থাকলেও তারা তা অনুসরণ করেননি। ফলে গণপূর্ত পাবনা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত প্রাক্কলিত মূল্যের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।”

রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন নয়টি ভবনের আসবাব ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আর তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রকৃত প্রাক্কলিত মূল্যে উঠে এসেছে ১৬৯ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা, যা অনুমোদিত পাক্কলিত মূল্যের চেয়ে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা কম। অর্থাৎ চেয়ে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুটি তদন্ত কমিটিই।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “যে চারটি ভবনের (ভবন নং-৬.১, ৬.২, ৬.৩ ও ৫-এ-৮) বেশ কিছু বিল প্রদান করা হয়েছে সে চারটি ভবনের বেশ কিছু ইলেক্ট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স চুক্তিপত্রের সিডিউলে বর্ণিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়নি।

“ওই সব ভবনের আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য ১১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ লাখ টাকা। কিন্তু সরবরাহকৃত মালামালের প্রকৃত মূল্য ৭৭ কোটি ২২ হাজার ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ চুক্তি মূল্য অনুযায়ী সরবরাহকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।”

এই অতিরিক্ত পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “আলোচ্য ব্যয় প্রাক্কলনসমূহের অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি সম্পর্কে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সুপারিশ সহকারে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাজশাহী জোনে পাঠায়। এক্ষেত্রে রাজশাহী ও পাবনা সার্কেলের নিম্নলিখিত কর্মকর্তারা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেননি।”

অস্বাভাবিক কেনাকাটার প্রাক্কলনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা সবাই পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা।

প্রকল্পের অস্বাভাবিক কেনাকাটার সঙ্গে ছয় পর্যায়ে ৫৩ জন কর্মকর্তার নাম প্রতিবেদনে এলেও একই কর্মকর্তা ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালনের কারণে একই ব্যক্তির নাম কয়েকবার এসেছে। সে হিসাবে অভিযুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা ৩৪।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ

ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুরুত্ব অনুসারে বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ; যেসব ভবনে এখনও কেনাকাটা হয়নি সেসব ভবনের কেনাকাটা প্রকৃত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নেওয়া; প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি নিয়েছে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের থেকে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া; নতুন করে দরপত্র আহ্বান এবং বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নমানের পণ্য দিলে তা ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর নির্মাণাধীন ভবনে আসবাব ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র তোলার অস্বাভাবিক খরচ নিয়ে গত ২ জুলাই রুল জারি করে হাই কোর্ট।

একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করতে এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষকে তা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেয়।

তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা পড়ে প্রতিবেদন দুটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য নির্মানাধীন গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম নিয়ে গত ১৬ মে একটি দৈনিক ‘কেনা-তোলায় এত ঝাঁজ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা আটটি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা।

প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি খাট কেনা দেখানো হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। আর খাট ওপরে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা।

প্রতিটি টেলিভিশন কেনায় খরচ দেখানো হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা। আর টেলিভিশন ওপরে ওঠাতে দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৬৩৮ টাকার খরচ। বিছানার খরচ ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা দেখানো হয়েছে; তা ভবনে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা। প্রতিটি ওয়ারড্রোব কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা।

আর তা ওঠাতে দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকার খরচ। এরকম বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়েছে।