রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
নানা ধরনের বর্জ্য ফেলতে নদীকে বেছে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নদী অনেক বেশি দূষণ হচ্ছে। নদীকে রক্ষা করতে না পারলে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো কঠিন হবে, এজন্য মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”
নৌপথে আগের চেয়ে এখন বেশি ‘লঞ্চ’ চলাচল করছে জানিয়ে তাজুল বলেন, “শিল্পায়ন হচ্ছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। মানুষের মুভমেন্ট বাড়ছে, ভ্রমণও বাড়ছে।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যে নয়টি কারণে নদী দূষণ হচ্ছে সেসব মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত করা হয়েছে।
“এসব প্রতিরোধ করে যেন নদী আর দূষিত না হয় সে বিষয়েও মহাপরিকল্পনায় বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “নদীগুলো দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। নৌমন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কাজ হচ্ছে। নদীর সব জায়গা তো আর দখল হয়নি, যেখানে দখল হয়েছে সেখানে কাজ চলছে।
“মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের পর অ্যাকশন প্ল্যান করা হচ্ছে। এটা করে পরিকল্পিতভাবে অ্যাকশনগুলো নেওয়া হবে।”
নদী রক্ষায় নেওয়া এই উদ্যোগকে ’দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, “নদী দূষণমুক্ত করে দূষণের উৎস বন্ধ করা, নদীর দখল মুক্ত করে নদীর সীমানা ঠিক করা এবং নদীর নাব্যতা বাজার রাখা- এই তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
“প্রথম এক বছর রাখা হয়েছে ক্রাশ প্রোগ্রাম হিসেবে। যেমন উচ্ছেদসহ অন্যান্য বিষয়, যেগুলো শুরু করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদী দুই বছর, মধ্যমেয়াদী পাঁচ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদী দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।