ঢাকা দক্ষিণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর মশা মারার ঘোষণা

ঢাকায় ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশা নিধনের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2019, 12:58 PM
Updated : 21 July 2019, 01:05 PM

রোববার রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকায় পক্ষকালব্যাপী মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধনে তিনি বলেন, “দিন যত যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। এজন্য সিটি করপোরেশন এ উদ্যোগ নিয়েছে। আজ থেকে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করা হল।

“আমাদের ৫৭টি ওয়ার্ডে আমাদের পরিদর্শক টিম, পরিচ্ছন্নতা টিম ও স্বাস্থ্য টিমের প্রতিনিধিরা যাবে। যে বাসায় এডিস মশা, লার্ভার সন্ধান পাওয়া যাবে আমাদের প্রতিনিধিরা তা নষ্ট করে দিয়ে আসবে।”

পাশাপাশি কীভাবে এডিস মশার লার্ভা ধংস করতে হয়, সে বিষয়ে নগরবাসীকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ৩০টি ভবনে যাওয়া হবে।

“প্রতিদিন ৩০টা বাসা বা ভবনে গিয়ে এডিসমুক্ত করে আসব। সেই হিসাবে প্রতিদিন এভাবে ৫৭টি ওয়ার্ডের কমপক্ষে ১ হাজার ৭১০টি ভবনের এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করবে। ১৫ দিন ধরে আমাদের কার্যক্রম চলবে। এই ১৫ দিনে কমপক্ষে ২৫ হাজার বাসাবাড়ির এডিস মশার উৎস ধংস করব।”

দুই বছর আগে ব্যাপকভাবে চিকুনগুনিয়া দেখা দিলে ফগিং মেশিন হাতে সাঈদ খোকনের ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছিল। তবে এরপর আর সেভাবে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কাঁঠালবাগান এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র। এরপর আশপাশের কয়েকটি বাসায় গিয়ে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করার কাজ করেন সাঈদ খোকন।

দুই বছর আগে ঢাকায় এডিস মশাবাহিত আরেক রোগ চিকুনগুনিয়া ব্যাপকভাবে দেখা দেওয়ার পরও ধোঁয়ার মধ্যে ফগিং মেশিন হাতে সাঈদ খোকনের ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছিল।

তবে এরপরও মশা নিধনে সেভাবে ওষুধ ছিটানো না হওয়ায় এবার আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

মেয়র সাঈদ খোকন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন।

দুই বছর আগে ব্যাপকভাবে চিকুনগুনিয়া দেখা দিলে ফগিং মেশিন হাতে সাঈদ খোকনের ছবি সংবাদমাধ্যমে এসেছিল। তবে এরপর আর সেভাবে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, “এডিস মশা বাড়ির বাইরে জন্মে না। এডিস মশা রাস্তা কিংবা ডোবার নোংরা পানিতে জন্মে না। এডিস মশা বাসার ভেতরে ছাদের আঙিনায় পরিত্যক্ত টায়ার বা পানির টাঙ্কিতে স্বচ্ছ পানিতে বংশবিস্তার করে।

“ময়লাযুক্ত পানিতে বংশবিস্তার করে না। তাই এডিস মশা ধ্বংসে জনগণের সচেতনতা ও সতর্কতা সবচেয়ে বেশি জরুরি।”

মেয়র জানান, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৮টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৪৫০টি জায়গায় দুই হাজার ১৫৭ জন নাগরিকের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।