বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি (বিডিএমএস) ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে শনিবার ‘বিগ টোব্যাকো টাইনি টার্গেট বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী স্কুল ও খেলার মাঠে ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকপণ্য বিক্রি বন্ধের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটা যথাযথ প্রয়োগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“একই সাথে আমরা সিগারেটের খুচরা বিক্রি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেব।”
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ‘বিগ টোব্যাকো টাইনি টার্গেট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জরিপ পরিচালনা করে।
বাংলাদেশে শিশুদের তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাক কোম্পানিগুলো যে সব কৌশল নিয়ে থাকে তার তথ্য তুলে আনাই জরিপের মূল উদ্দেশ্য বলে সেমিনারে জানানো হয়।
শিশু, কিশোর ছাড়াও যুব সমাজকে তামাক ও ধূমপানে আসক্ত করার পাশপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চলছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
একই সাথে টোব্যাকো এটলাস-২০১৮ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে এক লাখ ৬০ হাজার ২০০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. মোখলেছুর রহমান জরিপের প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে জানান, শতকরা ৯০.৬ ভাগ স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। আবার শতকরা ৬৪.১৯ ভাগ দোকানে ক্যান্ডি, চকলেট এবং খেলনার পাশে তামাকজাত দ্রব্য রেখে বিক্রি করতে দেখা যায়।
শতকরা ৮২.১৭ ভাগ দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন এবং শিশুদের দৃষ্টি সীমানার মধ্যে শতকরা ৮১.৮৭ ভাগ দোকানে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন হয় বলে জরিপে উঠে এসেছে বলেন তিনি।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ অনুযায়ী, সব ধরনের তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং তামাক পণ্য ১৮ বছরের কম বয়সী কারও কাছে বিক্রি ও কাউকে দিয়ে বিক্রি উভয়ই নিষিদ্ধ।