ডেঙ্গুতে মরছে, কিন্তু সরকারি তালিকায় আসছে না

ঢাকায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগে অনেকের মৃত্যু হলেও সরকারি হিসাবে তাদের সবার তথ্য আসছে না।

ওবায়দুর মাসুম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2019, 06:22 PM
Updated : 18 July 2019, 04:13 AM

বুধবার পর্যন্ত এ বছর ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে আরও অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

একটি সংবাদমাধ্যমে কয়েক দিন আগে ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর এই রোগ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

তবে বুধবার তাকে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানালে তিনিও সুর নরম করেন।

মশাবাহিত ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসা খোকন এদিন বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলেই তার মনে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় পাঁচ হাজার ১৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক হাজার ১১৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৯ এপ্রিল বিআরবি হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং আজগর আলী হাসপাতালে ৩২ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। এরপর ১৬ জুন অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যায় ১১ বছরের এক শিশু, ২৯ জুন ইবনে সিনা হাসপাতালে ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং ৩ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালে ৪২ বছর বয়সী একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

তবে বুধবার পর্যন্ত ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৯ জনের মৃত্যুর খবর মেলে।

এর মধ্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন, মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে দুজন, স্কয়ার হাসপাতালে তিনজন, ল্যাবএইড হাসপাতালে একজন এবং পুরান ঢাকার সালাহউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১৫ জুলাই হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফারিয়া আফরিন নামে ১৬ বছরের এক তরুণী। মালিবাগের গুলবাগের বাসিন্দা ফারিয়া ১৪ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এর আগে ২৫ মে এই হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কামরুল হাসান খান।

এই দুজনেরই ডেঙ্গুর ‘শক সিনড্রোম’ দেখা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৩ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে যার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে, তিনি ডা. নিগার নাহিদ দীপু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেছিলেন।

এছাড়া এই হাসপাতালে আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে আসেনি।

গত ১৫ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালে মারা গেছে লাবণ্য আলিনা কাজী নামে চার বছরের এক শিশু। আলিনার বাবা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল জানান, ১০ জুলাই আলিনাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডেঙ্গুর কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মৃত্যু সনদে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালে খোলা হয়েছে শিশুদের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন

বেসরকারি এই হাসপাতালেই গত ৫ জুলাই মারা যায় মো. ইরতাজা শাহাদ প্রত্যয় নামে সাত বছরের এক শিশু। প্রত্যয়ের মা চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী কাস্টসমসের ডেপুটি কমিশনার। ছেলের মৃত্যুর জন্য স্কয়ারের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করা এই নারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি সব কাগজপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআরে দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে পাঁচজন মারা যাওয়ার তথ্য তারা দিচ্ছে সেখানে আমার বাচ্চার তথ্য নেই।”

এর আগে গত ২৪ জুন স্কয়ার হাসপাতালে মারা যায় মগবাজারের বাটার গলির বাসিন্দা ইকবাল হোসাইনের ৫ বছরের মেয়ে সাবিকুন নাহার।

ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জ্বর হলে ২৩ জুন সকালে মেয়েকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সেদিন সন্ধ্যায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালের পিআইসিইউতে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (আগের আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের তথ্যও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় নেই।

এই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কাজী রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরহাম নূর নামে একটি শিশু মারা গেছে। আরহাম তৃতীয়বারের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল।

“সে আমাদেরই একজন চিকিৎসকের সন্তান। ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের পিআইসিইউতে ভর্তি হয়েছে। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।”

এর আগে গত ১১ জুলাই মো. সাদি নামে আরেক শিশু ডেঙ্গুতে মারা যায়। সাদি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইয়াসিন মিয়ার সন্তান।

ইয়াসিনের ফুপাত ভাই আইনজীবী শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ মাসের শুরুর দিকে জ্বরে আক্রান্ত হলে সাদিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

“পরিস্থিত খারাপ হলে ৯ জুলাই ইউনিভার্সাল হাসপাতালের পিআইসিইউতে নেওয়া হয়। ১১ জুলাই সকাল ৯টার দিকে মারা যায়। চিকিৎসকরা বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর শারীরিক জটিলতায় তার মৃত্যু হয়েছে।”

শিশুদের আইসিইউ সুবিধা সম্বলিত এই হাসপাতালে এর আগে গত ২ জুন মারা যায় উমাইজা হোসাইন নামে আরেক শিশু। উমাইজাদের বাসা শান্তিনগর এলাকায়।

তার বাবা মোহাম্মদ হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ২৭ মে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন ছেলেকে।

“সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ২৯ মে তাকে এই হাসপাতালের পিআইসিইউতে ভর্তি করি। সেখানেই মারা যায় উমাইজা।”

এদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ সফি আহমেদ।

তিনি বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ শিশু তাদের ওখানে চিকিৎসাধীন আছে।

“এদের চারজন সিসিআইউতে, বাকীরা ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার ১০ বছরের একটি শিশু এবং দুই বছর বয়সের আরেকটি শিশু মারা যায়। দুজনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।”

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ জুলাই জায়েদা বেগম নামে ৪৫ বছর বয়সী এক গৃহিণীর মৃত্যু হয়। আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা জায়েদা ১১ জুলাই এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে’র কথা বলা হয়েছে।

এর দুদিনের মাথায় ১৪ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত আরেকজনের মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মামুন মোর্শেদ।

পুরান ঢাকার টিকাটুলির সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতালে গত ২৮ জুন মারা যান নিগার সুলতানা রিপা নামে এক গৃহিণী। রিপার স্বামী আনোয়ার পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডেঙ্গু হলে ২৭ জুন ওই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন স্ত্রীকে।

“পরদিনই মারা যায় সে। মৃত্যু সনদে বলা হয়েছে, ডেঙ্গুর ফলে রিপার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।”

বুধবার ভোরেই ল্যাবএইড হাসপাতালে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন হাসি সমাদ্দার নামে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের একজন নার্স।

এই হাসপাতালের করপোরেট কমিউনিকেশন বিভাগের এজিএম সায়েদুর রহমান লেলিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসি সমাদ্দার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে তিনি মারা যান।”

তাদের হিসাবে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা এত কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেন। এ জন্য সংখ্যায় গড়মিল হতে পারে।

“আমাদের একটা ডেথ রিভিউ কমিটি আছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালের ডকুমেন্ট, টেস্ট রিপোর্ট, পেশেন্টের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা এবং স্যাম্পল নিয়ে আসা হয়। এগুলো আমাদের এখানে পরীক্ষা করা হয়। সব কিছু কম্পাইল করার পর আমাদের এক্সপার্টরা যখন নিশ্চিত হন যে ডেঙ্গু, সেটা আমরা রিপোর্টে দেখাই। আপনি যাদের কথা বলছেন, হয়ত সেগুলো আমাদের এখানে এখনও রিভিউ পর্যায়ে আছে। যখন নিশ্চিত হব, সেগুলোও যোগ হয়ে যাবে।”

তবে ৩ জুলাই স্কয়ারে চিকিৎসক ডা. নিগার নাহিদ দীপুর মৃত্যুর বিষয়টি তাদের তালিকায় এলেও তার এক মাস আগের ২ জুন ইউনিভার্সাল মেডিকেলে মারা যাওয়া উমাইজা হোসাইনের বিষয়টি আসেনি।

ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে কি না প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “এটা করার কোনো কারণ নেই। আমাদের এই ধরনের কোনো চেষ্টাও নেই। আমরা নিশ্চিত না হয়ে বলতে চাই না, কারণ তাহলে প্যানিক তৈরি হবে।”

মেয়র সাঈদ খোকন এতদিন বলে আসছিলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে

গত সোমবারই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিনজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেছিলেন, “কিছু সংবাদমাধ্যম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ডেঙ্গুতে ১১ জন মারা যাওয়ার কথা বলছে। এজন্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, এমন সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন।”

তবে বুধবার ডেঙ্গুতে ১৯ জন মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইইডিসিআর যে সংখ্যা কনফার্ম করে অফিসিয়ালি আমরা সেটাকেই ফলো করি। তবে এর বাইরেও থাকতে পারে। মৃত্যুর ব্যাপারে আমাদের অবস্থান একদম পরিষ্কার, একজনও মারা গেলে সেটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।

“কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতিতে লোকজনের মনোবল ঠিক রাখা, লোকজন যেন আতঙ্কিত হয়ে না হয় মেয়র হিসেবে সেটাও আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।”

গত মাসে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সাঈদ খোকন এ নিয়ে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ‘ক্ল্যাসিকাল’ ডেঙ্গু সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এবার ডেঙ্গু মারাত্মক হয়ে দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গুতে রক্তের প্লাটিলেট কমার পাশাপাশি মস্তিষ্ক, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই জ্বর হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

[এই প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অপরাধ বিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক লিটন হায়দার]