প্রেসিডেন্ট গার্ডস রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর।
“কাজেই স্বাভাবিকভাবে একটা স্বাধীন দেশের উপযুক্ত এই সশস্ত্র বাহিনীর, যা জাতির পিতা নিজে যুদ্ধের পর গড়ে তুলেছিলেন, সেটা আরও উন্নতমানের ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা সবসময় আমাদের রয়েছে।”
এর আগে দুপুরে রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে পৌঁছে একদল চৌকষ গার্ডের অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিদর্শন বইয়ে সই করার পর তিনি ঘুরে ঘুরে পিজিআর সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে একটি গাছের চারা রোপন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে পিজিআর সদস্যরা ফটো সেশনে অংশ নেন।
রেজিমেন্টের যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রী সেসব শহীদদের পরিবারের সদস্যদের উপহার ও অনুদান দেন।
১৯৭৫ সালের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিজিআর দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকারিভাবে ঘোষিত যে কোনো অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী এই রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা বলেন, গার্ডসরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে নিরাত্তার দায়িত্বে থাকেন।
তাই তার পক্ষ থেকেও গার্ডসদের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা সব সময়ই থাকে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করার পর পিজিআরের জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর জনবল ও সরঞ্জাম বৃদ্ধি করা এবং আবাসনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
পিজিআরে কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশেষ প্রীতিভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।