বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন এবং ঢাকা-রাজশাহী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট চাপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিতকরণের উদ্বোধনীতে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রতগতির ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করে পুরনো রেলসেতু সংস্কার ও রেলপথগুলোর আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আধুনিক রেল ইঞ্জিন চালনায় দক্ষ জনবল তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
“শুধু কোচ কেনা বা ইঞ্জিন কেনা বা লোকোমোটিভ কেনা না, সাথে সাথে চলার পথগুলো বা রেললাইনগুলোও উন্নত মানের করে দেওয়া।”
গত ২৩ জুন রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় একটি সেতু থেকে উপবন এক্সপ্রেন ট্রেন পড়ে গিয়ে চারজন নিহত ও অন্তত ১০০ জন আহত হন।
এরপর ১০ জুলাই রাজশাহীর চারঘাটে তেলবাহী একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে। এর পাঁচদিনের মাথায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেললাইনের একটি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে মাইক্রোবাস উঠে পড়লে ট্রেনের ধাক্কায় ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনার পর নতুন করে রেলসেতু সংস্কার ও রেলপথ আধুনিকায়নের বিষয়েটি আলোচনায় আসে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী রেলসেতুর সংস্কার করতে বলেছেন।
রেলের ব্যয়সাশ্রয়ী পরিবহনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। রেল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্য যে বিএনপি সরকার আমলে রেল বিভাগ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল এবং করেও দিয়েছিল।
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও রেলসচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সের অপর প্রান্তে যশোর ও চাপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজশাহীর মেয়র, দুই জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সুবিধাভোগী জনগন, শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।