ঢাকার আওয়ামী লীগ নেতার গ্রামের বাড়িতে খুন

ঢাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার গ্রামের বাড়িতে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2019, 04:50 PM
Updated : 16 July 2019, 04:55 PM

যে পিস্তলের গুলিতে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন, ওই অস্ত্রটি ওই আওয়ামী লীগ নেতারই বলে পুলিশের সন্দেহ।

তবে ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতা বলছেন, ওই খুন কীভাবে হল, তা তিনি জানেন না।

আওয়ামী লীগের এই নেতা হলেন শামীম হাসান; তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কপোরেশনের তেজগাঁও এলাকার (ওয়ার্ড নম্বর ২৬) কাউন্সিলর। তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও তিনি।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তার গ্রামের বাড়িতে সোমবার খুন হন ওবায়দুল ইসলাম (৩০) নামে এক ব্যক্তি।

তাকে গুলিতে হত্যা করা হয় বলে সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদউদ্দিন জানিয়েছেন।

তিনি মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার গলায় এবং পেটে গুলি লাগে। পৌনে ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”

কুড়িগ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল একজন রাজমিস্ত্রি হলেও শামীম হাসানের নির্মাণাধীন বাড়ির তদারকির কাজ তিনি করতেন বলে পুলিশ জানায়।

ঘটনাটি শোনার পর মঙ্গলবার রাতে কাউন্সিলর শামীমের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথাই অস্বীকার করেন।

তবে পরে স্বীকার করে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেখানে তার বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ শ্রমিকদের টাকা দিতে গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, “ওবায়দুলকে টাকা দিয়েই ঢাকায় চলে আসি। পরে শুনে (ওবায়দুলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর) হাসপাতালে যাই।”

ওবায়দুল কীভাবে গুলিবিদ্ধ হন- জানতে চাইলে ওসি ফরিদ বলেন, “শোনা গেছে, নাড়াচাড়া করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে। ইসমাইল নামে একজনকে (ওই গ্রামেরই) ধরতে পারলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমরা ইসমাইলকে ধরার এবং অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

অস্ত্রটি কার- জানতে চাইলে ওসি বলেন, “আমরা অনুমান করছি, অস্ত্রটি শামীম সাহেবের।

“তবে যে গুলি ছুড়েছে, তার মুখ থেকে না বলা পর্যন্ত জানা যাবে না। আর প্রত্যক্ষদর্শী কোনো লোক নেই। ইসমাইল গ্রেপ্তার হলে বলা যাবে, অস্ত্রটি তার, না কি অন্য কারও।”

কাউন্সিলর শামীমের বৈধ অস্ত্র রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা পুলিশের কাছে জমা দিতে প্রস্তুত বলেও তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

‘আপনার অস্ত্রেই ওবায়দুল গুলিবিদ্ধ হয়েছে কি’- এই প্রশ্নের জবাবে শামীম বলেন, “কার অস্ত্রের গুলিতে খুন হয়েছে, তা তদন্ত করে বের করবে পুলিশ। এজন্য খুব শিগগিরই অস্ত্র সিরাজদিখান থানায় জমা দেওয়া হবে।”

 “গুলিটা কে করল, এটা আমাকে জানতে হবে,” বলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।