ডিসিদের বাজারে নজর রাখার নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের দাম যেন না বাড়ে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের লক্ষ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2019, 11:50 AM
Updated : 16 July 2019, 12:09 PM

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য, শিল্প এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলেছি। গত রমজান মাসে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলতা পেয়েছি। এখন পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা বলেছি, এসব বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে যেন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে।”

টিপু মুনশি বলেন, “কোথাও হয়ত বিশেষ কারণ আছে, বৃষ্টির জন্য বা ভারত থেকে যে পেঁয়াজটা আসত আমাদের ওটা একটু রিডিউজড হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি, ১৫ দিনের মধ্যে এই অবস্থার উন্নতি ঘটবে।

“জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনাদের বড় দায়িত্ব এটা লক্ষ রাখা, ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং ভেজাল খাবার যাতে বাজারে না থাকে সেটা লক্ষ করা।”

অপরিকল্পিতভাবে গড়া শিল্প কারখানা সরানো হবে

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানাগুলো সময়মতো সরানো হবে।

ডিসি সম্মেলনে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প কারখানাগুলো সময়মতো আস্তে আস্তে রিপ্লেসমেন্ট করার চেষ্টা করব, রিলোকেট করব, আমাদের অনেক জায়গা আছে। ব্যবসা তো আর বন্ধ করা যাবে না, সেখানে লোকজনের কর্মসংস্থান আছে, কাউকে তো জবলেস করা যাবে না।”

কৃষি জমিতে কোনো শিল্প কারখানা করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “জেলা-উপজেলায় বিসিক শিল্পনগরী আছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের নতুন জায়গার দরকার নেই। ফলে আমরা কৃষি জমি নষ্ট করছি না।

“নকল ও ভেজাল দেখলে ডিসিরা ধরবে, এটা সারা বছর চলবে। ভেজাল ও নকল নিয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স।”

‘একটা শ্রেণি শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করছে’

পাটকল শ্রমিকরা পাওনা বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে যে আন্দোলনে রয়েছেন তাতে ইন্ধন দেখছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

ডিসি সম্মেলনে নিজের মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকার থেকে (পাটকল শ্রমিকদের) বেতন তো দিয়ে যাচ্ছি। গত সরকারের সময়ে বিরোধী দল একটি ফোনালাপ করেছে কীভাবে এই আন্দোলনকে বাড়িয়ে দেওয়া যায়, অস্থিতিশীল করার জন্য করেছে। আসলে সত্যিকারের যারা শ্রমিক তাদের বলেছি অর্থ দেব, তার আগেই তারা অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

“সরকার থেকে যখন যা প্রয়োজন সেই সহায়তা করে যাচ্ছি। শ্রমিকরা যাতে বেতন পায় সেই ব্যবস্থা সব সময় করে যাচ্ছি। একটা শ্রেণি আছে তারা সব সময় সুযোগ নেয় শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করার।”

বিজেএমসি প্রাইভেট খাতের সঙ্গে পেরে উঠছে না জানিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, “তাই চেষ্টা করছি পিপিপি-এর মাধ্যমে এটা করলে তারা লাভবান হবে।”

কেউ যাতে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।