রোববার গ্রেপ্তার মিলন হক (১৮) নামে এই আসামি সোমবার ঢাকার হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন।
পিবিআই ঢাকা মেট্রোর পরিদর্শক আল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিলনই তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে সিজানের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।”
মিলনকে কামরাঙ্গীচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
গত ৭ মার্চ রাতে বকশীবাজার এলাকায় সিজানকে মোট ছয়জন মিলে হত্যা করে। এলাকার আধিপত্য নিয়ে দুদল তরুণের দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
পিবিআই কর্মকর্তা আমিন বলেন, জানান, সিজান ও ইমন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের গণ্ডগোল হয়। সেই সমস্যা সমাধানের কথা বলে সিজানকে ফোনে ডেকে আনেন ইমন।
“সিজান বকশীবাজার এলাকায় এলে ইমনের নেতৃত্বে ছয়জন তার উপর হামলা চালায়। সর্বশেষ মিলন ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।”
পিবিআই কর্মকর্তা জানান, ইমনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া আরও দুজন মুন্না ও ইয়াসিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিফাত ও মিমো নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পিবিআই কর্মকর্তা আমিন বলেন, “হত্যাকাণ্ডটি ক্লুলেস ছিল। নির্জন এলাকায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা গা ঢাকা দিয়েছিল। মামলায়ও কাউকে আসামি করা হয়নি।”