নোমানের দুর্নীতি মামলার নতুন করে জেরা হবে

জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে দুই দশক আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসার পর ফের আটকে গেছে। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2019, 04:16 PM
Updated : 15 July 2019, 04:16 PM

সোমবার আসামিপক্ষের আবেদনে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ সৈয়দ কামাল হোসেন নতুন করে কয়েকজন সাক্ষীর জেরার জন্য ১ অগাস্ট দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

এর আগে বিভিন্ন কারণে তিন দফা এই মামলার রায় পিছিয়ে দেন বিচারক।

নোমানের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ এ মামলা রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে জেরা করা বাকি। তাদের জেরা করার জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।”

হাই কোর্টের সেই আদেশ সোমবার দাখিল করা হলে জজ আদালতের বিচারক নতুন করে সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য ১ অগাস্ট তারিখ রাখেন বলে জানান তৌহিদ।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ অগাস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে আবদুল্লাহ আল নোমানকে নোটিস দেয় বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো।

নোটিস পাওয়ার পর আইনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এমনকি তিনি সময় বাড়ানোর জন্যও আবেদন করেননি।

পরে ১৯৯৮ সালের ১৯ অগাস্ট নোমানের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাহিদ।

এ মামলায় ২০০৯ সালে নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলে তা বাতিল চেয়ে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ রুল জারির পাশাপাশি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হাই কোর্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়। 

এর বিরুদ্ধে নোমান আবেদন করলে হাই কোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

এর ধারাবাহিকতায় লিভ টু আপিল করেন নোমান। সেটিও ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত এ বছর ২৫ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য রাখে। কিন্তু ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১২ জুন নতুন তারিখ রাখা হয়।

মামলার আসামি নোমান অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১২ জুন আদালতে না যাওয়ায় সেদিনও রায় পিছিয়ে যায়। আদালত ৩০ জুন রায়ের দিন রাখেন।

সেদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী নতুন এক আবেদন দাখিল করে বলেন, কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে তারা হাই কোর্টে আবেদন করেছেন, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এই যুক্তিতে তিনি রায় পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করলে বিচারক ১৫ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ঠিক করে দেন।  কিন্তু সোমবার আসামিপক্ষ হাই কোর্টের আদেশের অনুলিপি দাখিল করলে মামলাটি আবার জেরার পর্যায়ে ফিরে যায়।