নিবন্ধন চায় ৮০০০ অনলাইন নিউজ পোর্টাল

নিবন্ধনের জন্য সরকারের কাছে আট হাজারের বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টালের আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2019, 09:49 AM
Updated : 15 July 2019, 10:12 AM

তিনি বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে’- এমন নিউজ পোর্টালগুলোকেই সরকারের তরফ থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।

ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “ডিসি সম্মেলনে নিউ মিডিয়া এবং এর চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ এসেছে, অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

“আমরা ইতোমধ্যে সমস্ত অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। আজকে (সোমবার) দরখাস্ত করার শেষ দিন। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে।”

আট হাজার আবেদন জমা পড়লেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন তোলেন তথ্যমন্ত্রী।

“আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলোর আসলে প্রয়োজন আছে, যেগুলো অনলাইন হিসেবে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা করার সক্ষমতা রাখে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হয়নি সেগুলোকে আমরা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনব।

“পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে রেজিস্ট্রশন দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি যখন এই রেজিস্ট্রেশনটা হবে সেখানে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।”

নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে কত দিন লাগবে- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “আট হাজার তো, যাচাই-বাছাই করতে একটু সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব, যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদেরকে সহসাই এই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনব। যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোকে তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।”

অনলাইন গণমাধ্যমগুলো নিবন্ধনের জন্য গত ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। পরে আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়।

‘অপসাংবাদিকতা’ রোধে সব অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। এরপর আরও বেশ কয়েকবার ওই সময় বাড়ানো হয়।

এর আগে এক সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছিল, “বাংলাদেশের অনলাইন পত্রিকার প্রকাশকদের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অপসাংবাদিকতা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে।”

ডিসিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, “নিউ মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সোশাল মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এটি শুধু বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নয়, এটি সমগ্র পৃথিবীতেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

“এটি ইউরোপে চ্যালেঞ্জ, নর্থ আমেরিকসহ সব দেশেই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম,… আইসিটির সঙ্গে আমরা সঠিক সময়ে যুক্ত হতে পেরেছি।

“ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণ পাচ্ছে। আজকে সোশাল মিডিয়ার ব্যাপক বিস্তৃতি, এটি যেমন মানুষের জন্য সুযোগকে অবারিত করেছে একই সাথে অনেক চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে দাঁড় করিয়েছে সেগুলো সমন্বিতভাবে আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। এই সুযোগটিকেও আমাদের অবারিত রাখতে হবে।”

তথ্যমন্ত্রী জানান, জেলায় জেলায় তথ্য ভবন নির্মাণ নিয়েও ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তথ্য ভবনের সঙ্গে যাতে একটি মিলয়নায়তন থাকে, যেখানে অনুষ্ঠান করা যাবে, সিনেমা দেখানো যাবে।

“এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি, ২৭টি জেলায় কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছি। আমরা সব জেলায় করতে চাই, এজন্য ডিসি মহোদয়দের সব জেলায় স্থান নির্ধারণ করার জন্য বলা হয়েছে।”