পানি বাড়ছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। পদ্মা-যমুনাসহ অধিকাংশ নদীর পানি বাড়ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2019, 07:27 PM
Updated : 14 July 2019, 07:27 PM

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া রোববার জানান, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ২৫টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

তবে বহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার পনি বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে যমুনা নদী।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের বিস্তৃত এলাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল সংলগ্ন ভারতের বিহার ও নেপালে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং সিলেট ও রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলোর পানিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় অতি ভারী বৃষ্টিতে (৮৯ মিলিমিটার) চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে রংপুরের ডিমলায়, ১৯৫ মিলিমিটার।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।