তার জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
হুমকি দিয়ে ১৬ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুফিয়া আক্তার নামের এক নারী বংশাল থানায় তাজুলের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তাজুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে তাজুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করে তার আইনজীবী আব্দুল হাই মামুন বলেন, “আমাদের কাছে পাওনা থাকলে তা পরিশোধ করব। আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়েছি।”
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম (৬২), ব্রাঞ্চ কন্ট্রোলার ও ব্যবস্থাপক লাকী খাতুন (৩২), শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ (৪২), নবাবপুর শাখা ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং উপদেষ্টা মো. নুরুন্নবী (৬৫)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সুফিয়া আক্তার ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময়ে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের নবাবপুর শাখা অফিসে মোট ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩৫ টাকা জমা রাখেন। পরে তিনি একাধিকবার টাকা তুলতে গেলেও তা দেওয়া হয়নি।
‘টাকা নেই’ জানিয়ে নবাবপুর শাখার ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সুফিয়াকে।
পরে সুফিয়া ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও ব্রাঞ্চ ব্যবস্থাপক লাকী খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
এজাহারে বলা হয়, বাদী শাখা ব্যবস্থাপক দ্বীন মোহাম্মদ ও উপদেষ্টা নুরুন্নবীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো গত ৬ মার্চ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।