সচিবালয়ে শুক্রবার আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এনামুর বলেন, “বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আর্থিক সঙ্গতি সবারই বেড়েছে, সেই দিন আর এখন আর বাংলাদেশে নেই যে ত্রাণটাকেও চুরি করে খাবে, মেরে খাবে, আমরা কিন্তু এ রকম রিপোর্ট এখন আর পাই না।
“এখন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, আমাদের দেশপ্রেমও অনেক ভালো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে… ত্রাণ মেরে খাওয়ার মত লোক দেখছি না, কারণ অতীতে আমরা দেখেছি অত্যন্ত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় (ত্রাণ বিতরণ) হয়েছে, আশা করি এবারও অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ করব।”
ভারী বর্ষণের কারণে ১০ জেলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনার পর বন্যা মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি জানাতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, দুর্গত জেলাগুলোতে দুই কোটি ৯৩ লাখ টাকা, সাড়ে ১৭ হাজার মেট্রিকটন চাল এবং ৫০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রতি জেলায় দুয়েক দিনের মধ্যে পাঠানো হবে ৫০০টি করে তাঁবু।
এসব ত্রাণ সামগ্রী ঠিকমত বিতরণ হবে কি না, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর কাছে সেই প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক।
এনামুর বলেন, ঢাকা থেকে ‘সার্বক্ষণিক মনিটরিং’ চলছে, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ‘অত্যন্ত সক্রিয়’।
“আমি অনেকগুলো জেলা ভিজিট করেছি, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মিটিং করেছি, আমি আশ্চর্য হয়েছি তাদের গুণগত মানের উন্নয়ন দেখে, তারা প্রত্যেকেই প্রতিটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবর রাখেন এবং কোথায় কখন কী পরিমাণ সাহায্য যাচ্ছে, কী পরিমাণ বিতরণ হচ্ছে, কী পরিমাণ স্টক আছে, এত সুন্দর একটি তালিকা মেনটেইন করেন, আমি অভিভূত।
“আমি আশাবাদী যে এই নেতৃত্বে, রাষ্ট্রযন্ত্রের যারা কর্মকর্তা আছেন, তাদের হাতে বাংলাদেশ এখন নিরাপদ, আমাদের ত্রাণ সামগ্রীও নিরাপদ, ইনশাল্লাহ সবাই এটার সুষ্ঠু বণ্টন করবেন।”