বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলে বলে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান।
এসময় শ্মশানঘাট থেকে শ্যামপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তরপাড় এলাকার ৯০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরিফ উদ্দিন বলেন, এর মধ্যে একটি দোতলা, ১৫টি একতলা, ৪৫টি আধাপাকা, ২৯টি টিনের স্থাপনা রয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে সাত একর জমি।
এদিন উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ায় তিনজনকে আটক করে তিন মাসের সাজা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরিফ উদ্দিন বলেন, “বাধা দেওয়া ও হামলার কারণে ইকবাল আহমেদ, আবুল বাশার ও রনজিত সরকার নামে তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হলে মোবাইল কোর্টের হাকিম প্রত্যেককে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।”
আগামী সোমবার সকাল ৯টায় শ্যামপুর লঞ্চঘাট থেকে পাগলা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অবৈধ দখল উচ্ছেদের পর বিআইডব্লিউটিএর প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমি সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
নদীর তীরভূমি ৫২ কিলোমিটার এলাকায় হাঁটার পথ ছাড়াও ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে, নির্মাণ করা হবে তিনটি ইকোপার্ক, ১৯টি আরসিসি জেটি, ১০০ টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০৯টি বসার বেঞ্চ ইত্যাদি।
এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।