বাংলাদেশে হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বা এমআরপি প্রবর্তনের পর এক দশকও পার হয়নি। কিন্তু এমআরপির ডেটাবেইজে ১০ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্ট করার ঘটনা দেখা যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে এবং একজনের নামে একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা বন্ধ করতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) চালু করতে উদ্যোগী হয় সরকার। গত বছরের ২১ জুন প্রকল্পটি একনেকের সায় পায়।
ই-পাসপোর্ট নামে পরিচিত বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যাতে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা বসানো থাকে। এ পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাসপোর্টের ডেটা পেইজ এবং চিপে সংরক্ষিত থাকে।
তিনি বলেন, "দেখুন, আমরা ই-পাসপোর্টের আগে এমআরপি করেছি। দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষের হাতে আমরা এমআরপি পাসপোর্ট তুলে দিয়েছি।
“ই-পাসপোর্ট এবং ই-গেট প্রজেক্ট নিয়ে সবে আমরা কাজ করছি। একটি খ্যাতনামা কোম্পানি পুরা প্যাকেজটির কাজ করছে। ওই কোম্পানি সব ধরনের কাজ গুছিয়ে এনেছে। আমি যতটুকু জানি এবং প্রতিদিন খবর নিচ্ছি।”
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে গত জুলাইয়ে জার্মান কোম্পানি ভেরিডোসের সঙ্গে চুক্তি করে পাসপোর্ট ও বহির্গমন অধিদপ্তর। সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা।
ওই টাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে ২০ লাখ পাসপোর্ট বুকলেট, ২ কোটি ৮০ লাখ পাসপোর্ট তৈরির সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ১০ বছর রক্ষণাবেক্ষণ সেবা দেবে।
গত মে মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে জুলাই থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করার কথা জানানো হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাসের ‘যে কোনো সময়’ প্রধানমন্ত্রী ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করতে পারেন।
বিএসআরএফের বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।