কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের প্রভাব দেখলেন বান কি মুন

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জনগোষ্ঠির আকার বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় পরিবেশের ওপর কি ধরনের প্রভাব পড়ছে, তা দেখতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের চেয়ারম্যান জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।

রিয়াজুল বাশার কক্সবাজার থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2019, 11:44 AM
Updated : 10 July 2019, 11:53 AM

বুধবার বিকাল সোয়া চারটায় হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে কুতুপাংলয়ে কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন মুন।

তার সঙ্গে রয়েছেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা সি হেইন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস্টালিনা জর্জিভা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

কুতুপালংয়ে ২০ নম্বর ক্যাম্পে নেমে সেখান থেকে ১৭ নম্বর ক্যাম্পে যান তারা। সেখানে গাছের চারা রোপন করেন বান কি মুন, হেইন ও জর্জিভা।

মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে আড়াই বছর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা; তার আগে ও পরে আসা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব থাকার সময় ২০০৮ সালে প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসেন বান কি মুন। ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সফর করেন তিনি।

দুইদফায় জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের পর গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মুন; যে সংস্থাটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে স্থানীয় পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের জায়গা তৈরি করতে গিয়ে উজাড় হয়েছে বন, কেটে ফেলা হয়েছে পাহাড়। এছাড়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির আশ্রয়ে স্থানীয় মানুষদের জীপন-যাপনেও সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রতিকূলতা।   

মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় পৌঁছে বান কি মুন বুধবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি; যে সম্মেলনে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট মিজ হিলদা সি হেইন এবং বিশ্ব ব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিভাও অংশ নেন।