মঙ্গলবার দুটি ভিন্ন ফ্লাইটে তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন দুজনকেই স্বাগত জানান।
ম্যাক্সিমা ও বান কি মুন তাদের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করবেন।
চার দিনের সফরে ডাচ রানি বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
আগারগাঁওয়ের আইডিবিতে ঢাকায় জাতিসংঘ সদরদপ্তর পরিদর্শন এবং সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ম্যাক্সিমা।
এছাড়াও নরসিংদীর পলাশে জিন্দারি ইউনিয়ন পরিষদ এবং টাঙ্গাইলে একটি বুটিক শপ দেখতে যাবেন তিনি।
বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেওয়াসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে ডাচ রানির।
অন্যদিকে আগামী বুধবার ‘ঢাকা মিটিং অফ দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন’ শীর্ষক এক সভায় যোগ দেবেন বান কি মুন।
স্থানীয় পরিবেশের উপর রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার প্রভাব দেখতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের চেয়ারম্যান বান কি মুন।
মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে আড়াই বছর আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা; তার আগে ও পরে আসা মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব থাকাকালীন ২০০৮ সালে প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসেন বান কি মুন। ২০১১ সালে দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ সফল করেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমারও বাংলাদেশে এটি প্রথম সফর নয়। এর আগে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ দেশটির রানি ম্যাক্সিমা।