তবে মঙ্গলবার দুপুরে মেয়রের এ আমন্ত্রণের পর বিকাল পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন মেয়র।
বিকাল ৪টায় সাঈদ খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। আজ মাত্র দাওয়াতটা দিলাম। এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। দেখি কাল তাদের প্রতিনিধিরা কেউ আসে কিনা।”
অন্যদিকে মেয়রের আমন্ত্রণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন রিকশা শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের দুই নেতা।
‘ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন দূর/বন্ধ, ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে গঠিত’ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ জুন (রোববার) থেকে রাজধানীর কুড়িল-সায়েদাবাদ, গাবতলী-আজিমপুর ও সায়েন্সল্যাব-শাহবাগ রুটে রিকশা চলাচল বন্ধ রাখার কথা।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমদিন রিকশাচালক ও মালিকদের তৎপরতা চোখে না পড়লেও সোমবার থেকে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন তারা। মঙ্গলবারও দ্বিতীয় দিনের মতো কয়েক হাজার রিকশাচালক ও মালিক সকাল থেকে কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা ও মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন।
গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বড় একটি অংশ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। আশপাশের সড়কগুলোতেও সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট, যা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো রাজধানীজুড়ে।
প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে দুপুরে রিকশাচালক ও মালিক প্রতিনিধিদের চায়ের আমন্ত্রণে ডাকেন মেয়র সাঈদ খোকন।
“রাস্তা বন্ধ করে তো কোনো সমাধান আসবে না। আর প্রতিবাদের ভাষাও পরিবর্তন হওয়া দরকার। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া প্রতিবাদের সেকেলে পদ্ধতি। রাস্তা ব্লক করা, মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করা এসব থেকে সরে আসতে হবে।
“তাদের দাবি আছে সেটা ঠিক আছে। তারা আসুক, কথা বলে দেখি তাদের জন্য কী করতে পারি। তারাও আমাদের কিভাবে সহায়তা করতে পারেন, সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। সমস্যা সবার, সমাধানও আমাদেরই করতে হবে।”
এ প্রসঙ্গে ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশামালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মমিন আলী ও জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী জানিয়েছেন, তারা মেয়রের দাওয়াত পাননি।
মমিন আলী বলেন, “দাওয়াতের কথা এখনও জানি না। তবে দাওয়াত পেলে যাব। শুনেছি একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেইন তৈরির কথা বলেছেন। এখন তার বাস্তবায়নের জন্য আমরা কথা বলব।”
ইনসুর আলী বলেন, “কাকে দাওয়াত দিয়েছে, কেন দাওয়াত দিয়েছে, তা আমরা কিছু জানি না।”
গত ৩ জুলাই নগর ভবনে মেয়রের সভাপতিত্বে ‘ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন দূর/বন্ধ, ফুটপাথ দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে গঠিত’ কমিটির বৈঠকে রাজধানীর তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরে ৭ জুলাই কুড়িল থেকে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে আসাদগেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে আজিমপুর পর্যন্ত ও সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়কে কোনো রিকশা চলাচল বন্ধ থাকে।
সোমবার থেকে আন্দোলনে নামেন রিকশাচালকরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মালিকরাও।