চাকরিতে ঢোকার বয়স না বাড়ানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী

চাকরির ঢোকার বয়স না বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান জানিয়ে এনিয়ে আন্দোলনকারীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2019, 03:06 PM
Updated : 8 July 2019, 03:06 PM

চীন সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে প্রধানমন্ত্রী সোমবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এলে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নে বিষয়টিতে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “কাজ করবার তো একটা সময় থাকে। একটা এনার্জি থাকে। এখানে একটা দাবি তোলার জন্য যদি তোলা হয়, আমার কিছু বলার নেই।

“কারণ এই দাবিটা তোলার জন্য বা এই আন্দোলনের জন্য নিশ্চয়ই কোনো না কোনো জায়গা থেকে তাদেরকে কিছু সুবিধা বা …. আমি জানি না নিশ্চয়ই কোনো জায়গা থেকে প্রেরণা এরা পাচ্ছে। আরও ভালো শব্দ ব্যবহার করি, অনুপ্রেরণা পাচ্ছে।

“তারা আন্দোলন করেই যাবে। খুব ভালো কথা, করুক আন্দোলন। আমি তো আর আন্দোলনে বাধা দেব না। আন্দোলন ভালো জিনিস। আন্দোলন করলে রাজনীতিটা শিখবে ভালো করে। কিন্তু যদি কারও প্ররোচনায় করে থাকে, তাহলে সেটা কী হবে, এটা বুঝতেই পারেন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অবস্থায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পরও একজন চাকরি প্রার্থীর হাতে কয়েক বছর থাকে, ফলে আরও সময় বাড়ানোর যৌক্তিকতা নেই।

বিসিএস পরীক্ষায় বয়সীদের থেকে অপেক্ষাকৃত নবীনদের ভালো করার তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী যারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন, তাদের পাসের হার হলো ৪০.০৭ ভাগ। ২৫-২৭ বছর যাদের বয়স, এটা হল ২৩.২৯ ভাগ। ২৭ বছর থেকে ২৯ বছর যাদের বয়স যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে তাদের পাসের হার হল ১৩.১৭। আর ২৯ বছরের ঊর্ধে যারা তারা পাস করেছে ৩.৪৫ ভাগ। এটা হল ৩৫তম বিসিএস।”

৩৬ ও ৩৭তম বিসিএসেও একই চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি শুধু পাসের হিসাবটা দিলাম। আপনারাই বলেন। এটা হলো ২৯ এর ঊর্ধে..২৯/৩০ বা ৩১/৩২। যদি ৩৫ পর্যন্ত যায়, অবস্থাটা কী দাঁড়াবে, আমাকে একটু বুঝিয়ে বলেন।

“কারণ তখন তো বিয়ে শাদি হবে। ছেলে-মেয়ে হবে। বউ সামলাতে হবে। ছেলেমেয়ে সামলাতে হবে..নাকি পরীক্ষা দিতে হবে। তখন তো আরও করুণ অবস্থা হয়ে যাবে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “৩৫ বছরে পরীক্ষা দিলে…এরপর ট্রেনিং শেষ হতে তো আরও ২ বছর লাগবে। তাহলে ৩৭ গেল। ৩৭ এ চাকরিতে ঢুকলে.. ২৫ বছর না হলে কিন্তু ফুল পেনশনটা পাবে না।”

সরকার চালাতে নবীনদের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা সব সময় বলি-যারা যুবক, যারা মেধাবী, যাদের কর্মক্ষমতা ভালো, তাদেরকেই দিয়েই তো দেশের উন্নয়নের কাজটা করতে হবে।”