ওয়ারীর শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় গ্রেপ্তার আসামির জবানবন্দি

পুরান ঢাকার ওয়ারীতে সাত বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি হারুন উর রশিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2019, 10:21 AM
Updated : 8 July 2019, 01:18 PM

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী তার খাসকমরায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।

ওয়ারীর বনগ্রামে বহুতল একটি ভবনের নয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে শুক্রবার রাতে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় শিশুটি পরিবারের সঙ্গে থাকত।

শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ওই মেয়েটি একটি স্কুলে নার্সারিতে পড়ত। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি; খোঁজাখুঁজির পর রাতে পাওয়া যায় লাশ।

এঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এঘটনায় শনিবার রাতে হারুন (২৬) নামের ওই যুবককে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন তিনি। ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানেই তিনি কাজ করতেন।

আর হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। অন্য দিনের মতই আট তলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়েছিল সে।

কিন্তু সে না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। নবম তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে তাকে পাওয়া যায় গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায়।

আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের মুন্সী আসলাম হোসেন বলেন, সকাল ১১টার দিকে হারুনকে আদালতে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয়।