অচিরেই নবম সংবাদপত্র মজুরিবোর্ড ঘোষণা: তথ্যমন্ত্রী

‘শিগগিরই’ সংবাদপত্রকর্মীদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2019, 01:46 PM
Updated : 7 July 2019, 01:46 PM

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে একথা বলেন মন্ত্রী।

রংপুর-২ আসনের সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ‘গণমাধ্যমবান্ধব সরকার’ অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ, ২০১৩ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

“ইতোমধ্যে ১৬৭টি পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে।”

পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সব সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর ৪৫% মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

“নবম সংসদপত্র মজুরি বোর্ড ইতোমধ্যে প্রতিবেদন দিয়েছে। এ প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সব অংশীজনদের নিয়ে সভা করেছে। অচিরেই নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করা হবে।”

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। এ ট্রাস্ট অসুস্থ, অসচ্ছ্বল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক ও নিহত সাংবাদিকদের পরিবারকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে আসছে।

ভোলা-২ আসনের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকাসহ সারা দেশে নিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা তিন হাজার ১২৮টি।

বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের অনুপস্থিতিতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।

যোগ্য নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী

আবেদন পর্যালোচনা করে যোগ্য নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

ভুয়া সংবাদ পরিবেশনকারী অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করতে সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, “কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে- অনেক সংবাদ পরিবেশন করে তার অনেকগুলো হয়ত সঠিক নয়। আমরা বিভ্রান্তকর বা বিব্রতকর খবর সেখানে দেখতে পাই। আমরা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের সকল প্রস্তুতি নিয়েছি।”

তিনি জানান, যেসব অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালিত হচ্ছে তাদের নিবন্ধনে আবেদনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময় ১৫ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

“আবেদনের সময় শেষ হলে এগুলো পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই করে যোগ্য নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। বিভ্রান্ত-বিব্রতকর ও ভুল তথ্য প্রচার ও প্রকাশিত যাতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় সাংবাদিকরা স্বাধীন সংবাদ পরিবেশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কি না- সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার আন্তরিক। যে ধারাটির বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাতে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশে কোনো বাধা আছে বলে মনে করি না। তবে সাংবাদিকদের কোন কোন ক্ষেত্রে বাধা হচ্ছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংসদ সদস্য আবু জাহিরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, “ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলঅইন পোর্টালে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে কি না সে বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সর্বক্ষণিকভাবে নজরদারি ও তদারকি করছে। কোথাও মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ৫৭ ধারা ইতোমধ্যে প্রবর্তিত হয়েছে। কোথাও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন হলে প্রচলিত আইনে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।”