‘জুলাইয়ের শেষে’ পুরান ঢাকায় চক্রাকার বাস

চলতি মাসের শেষেই পুরান ঢাকায় বিআরটিসির চক্রাকার বাস চলাচল শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2019, 12:25 PM
Updated : 7 July 2019, 12:25 PM

এছাড়া এ মাসেই রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলকারী সব বাসে টিকেট পদ্ধতি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার নগর ভবনে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে মেয়র খোকন সাংবাদিকদের বলেন, চক্রাকার বাস যাত্রা শুরু করবে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে।

“বাবুবাজার থেকে ধোলাইখাল, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, মেরাদিয়া, রামপুরা, মালিবাগ হয়ে মগবাজার পর্যন্ত আসবে বাস। তবে সেখান থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত আপাতত এই বাস আসবে না। মগবাজার থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বেসরকারি পরিবহনের অনেক বাস চলাচল করছে। যদি যাত্রীদের চাহিদা থাকে তাহলে বাসগুলো পুরান ঢাকায় যাবে। অন্যথায় মগবাজার থেকে মালিবাগ, রামপুরা, স্টাফ কোয়ার্টার, যাত্রাবাড়ী হয়ে বাবুবাজার চলে আসবে।”

মোহাম্মদপুর- মতিঝিল রুটের বাসে টিকেটের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, “এই রুটের কোনো বাস টিকেট সিস্টেমের বাইরে চলতে পারবে না। এ বিষয়ে মালিক সমিতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ এ বিষয়ে মালিক সমিতিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। যাত্রীরা টিকেট কেটে বাসে চড়বেন, এতে বাসের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কমে যাবে।”

রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে প্রস্তাবিত ছয়টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানি দ্রুত কাজ শুরু করবে বলে সভা শেষে সাংবাদিকদের জানান মেয়র খোকন।

এ বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত একটি কোম্পানির আওতায় বাস চলাচল শুরু করতে চাই। কোম্পানির বাসের একটি নির্দিষ্ট রঙের বাস হবে। আগামী সপ্তাহে প্রস্তুতি সভা হবে। সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা দ্রুত‌ই করতে চাই।"

এসব রুটে বর্তমানে যেসব বাস চলাচল করছে সেসব বাস‌ই একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতায় আনা হবে। পরে ধীরে ধীরে নতুন বাস নামানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাই, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুল আলম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহমেদ ভুইয়া, ডিটিসিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. সালেহ আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিআরটিএর পরিচালক মাহবুব ই রব্বানী, মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।