দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার গবেষণা ফার্মেসি বিভাগের নয়: চেয়ারম্যান

পাস্তুরিত দুধসহ কিছু খাদ্যপণ্যের মান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের তুলে ধরা গবেষণার সঙ্গে ফার্মেসি বিভাগের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2019, 03:33 PM
Updated : 29 June 2019, 06:10 AM

ওই গবেষণার সঙ্গে ‘ফার্মেসি বিভাগের’ নাম জুড়ে দিয়ে সেটাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে আগের দিন সংসদে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান তিনি।

পরে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান সীতেশ চন্দ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংসদে প্রতিমন্ত্রী যেহেতু ফার্মেসি বিভাগ নিয়ে কথা বলেছেন, সেহেতু বিভাগের দায়বদ্ধতা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে ফার্মেসি বিভাগের যেহেতু এখানে সংশ্লিষ্টতা নেই তাই আমরা এই প্রতিবাদলিপি দিয়েছি।’’

মিল্কভিটাসহ বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাতটি প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার কথা জানিয়ে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবম ফারুক। ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকদের নিয়ে তিনি এ গবেষণা করেছেন বলে জানান।

পরদিন সংসদে এর প্রতিবাদ জানিয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন বলেন, কিছু অসৎ ব্যবসায়ী ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটির একটি টেস্ট রিপোর্ট’ দিয়ে বলছে, মিল্কভিটাতে আর্সেনিক আছে। মিল্কভিটা দুধের মধ্যে নাকি ফরমালিন আছে। এটি একটি সর্বৈব মিথ্যা কথা।”

এক্ষেত্রে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে অধ্যাপক বাছারও অভিযোগ করেন, অধ্যাপক ফারুক ‘ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য’ হাসিলের জন্য এ গবেষণা করেছেন।

তবে কোনো স্বার্থ হাসিলের অভিযোগ অস্বীকার করে আবম ফারুক বলেন, “কোনো কোম্পানির কনসালটেন্সি আমরা করি না। গবেষণায় কয়েকটি ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে আসায় আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি।

“আমাদের কাছে মনে হয়েছে, যখনের ঘটনা তখনই জানানো উচিত। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এবিষয়ে আরও নজরদারি বাড়ায়, এবং কোম্পানিগুলো সচেতন হয় সেটাই ছিল উদ্দেশ্য।”

তিনি বলেন, ফার্মেসি অনুষদভুক্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি, ফার্মাকোলজি ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের মোট নয় জন শিক্ষক এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

“কোনো পত্রিকা যদি ফার্মেসি বিভাগের কথা লিখে থাকে তাহলে সেটা তাদের ভুল। আমরা বলেছি, ফার্মেসি অনুষদের কতিপয় শিক্ষক মিলে এই পরীক্ষা করেছি। শুধু শুধু ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই।”

এই বিষয়ে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি অনুষদের মধ্যে অনেক গবেষক থাকে। এটা হলো একটি টিমের গবেষণা। এই গবেষণার ফলাফল কোনো প্রতিষ্ঠানের না।”