বরগুনায় রিফাতের খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: কাদের

বরগুনায় প্রকাশ্য সড়কে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শিগগির গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2019, 09:42 AM
Updated : 27 June 2019, 10:59 AM

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা জানান।

তিনি বলেন, “এই ঘটনায় অলরেডি একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে।

“যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের যে কোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।”

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা শহরের কলেজ রোডে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামের দুলাল শরীফের ছেলে রিফাতকে (২৩) কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। এসময় তার স্ত্রী বাধা দিয়েও তাদের আটকাতে পারেননি।

 তাকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় ।

এঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করার পর তাদের মধ্যে চন্দন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হামলার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রকাশ্য দিবালোকে এটা একটা নৃশংস ঘটনা, একটা মর্মান্তিক ঘটনা। আমি যতটা পুলিশ সোর্সে জানতে পেরেছি এবং আমাদের মিডিয়ায়ও খবর এসেছে- বিষয়টি অনেকটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের... প্রেমঘটিত একটা বিষয়। সেখান থেকে ব্যক্তিগত বিদ্বেষের প্রকাশ ঘটেছে খুব নগ্নভাবে।”

বুধবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের একজন ইউপি সদস্যকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, “সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে এটা কী বলা যায়? এগুলো দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রূপগঞ্জের ঘটনার শিকার রাজনৈতিক দলের সদস্য হলেও ঘটনাটা তো রাজনৈতিক কারণে হয়নি।

“দেশে বিরোধী দল আছে কিন্তু তারা এমন কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে সৃষ্টি করতে পারেনি। যেখানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে। বরং তারা নিজেরা নিজেদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত। তাদের দলীয় অফিসে তালা দিচ্ছে তাদেরই লোকেরা। এটাকে যদি অবনতি বলেন তবে অবনতি হতে পারে।”

পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যার বিচার হলে ঘটনা কি কোনো পুনরাবৃত্তি হতো- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “বিশ্বজিৎ হত্যার একটা রায় তো হয়েছে। কীভাবে বলেন, বিচার হয়নি। বিচার কার্যক্রম চলছে। অনেকের ফাঁসির আদেশ হয়েছে, যাবজ্জীবন হয়েছে। সরকারের নমনীয় অবস্থানের কোনো প্রমাণ এখানে নেই।

“বিচারটা নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে যাবে। তারপর আপিল বিভাগে যাবে, সবকিছু মিলিয়ে তো এটা একটা বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এখানে সরকার তো কোন ছাড় দেবে না।”