পুরনো ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পদত্যাগের নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টে সরকারের আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে যারা ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2019, 08:51 AM
Updated : 27 June 2019, 08:58 AM

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সেখানেই তিনি তাদের পদত্যাগ করতে বলেন। 

একাধিক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন জানান, বর্তমানে মোট ৬৭ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১০৬ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল দায়িত্ব পালন করছেন।

তাদের মধ্যে ৩৩ জন ডেপুটি ও ৫৪ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পেয়েছেন। 

কেন তাদের পদত্যাগ করতে বলা হল- সে বিষয়ে কোনো ব্যাখা রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম দেননি।

সাংবাদিকদের তিনি শুধু বলেন, “পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়া না পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন।”

তবে পুরনো আইন কর্মকর্তাদের অনেকের বিষয়ে যে সরকার সন্তষ্ট নয়, তা বিভিন্ন সময়ে আইনমন্ত্রীর কথায় প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৭ সালের আগে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদত্যাগ করতে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বুধবারই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।  

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেয় সরকার। রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ বা নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি দেখভাল করে।

ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো মেয়াদ থাকে না।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বুধবার বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের জানান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ কারণে ২০১৭ সালের আগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

“অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। তিনি নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিচ্ছেন।… এখন পর্যন্ত কোনো পদত্যাগপত্র আমার কাছে পৌঁছায়নি।

“এখন আবারও তাদের (ডিএজি ও এএজিদের) পদত্যাগ করতে বলছি, বিষয়টি আপনাদের (সংবাদকর্মী) মাধ্যমে তাদের সবার কাছে পৌঁছে যাবে।”

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরনোদের সবাইকে হয়ত শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হবে না। ২০১৭ সালের আগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। সব পদত্যাগপত্র হাতে পাওয়ার পর নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে। সে সময় পুরনো কেউ কেউ থেকে যেতে পারেন। যাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে, তারা বাদ যাবেন।