রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও ব্রুনেইর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা চান রাষ্ট্রপতি

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড ও ব্রুনেই দারুসসালামের ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা আশা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 02:07 PM
Updated : 25 June 2019, 02:07 PM

এই দুই দেশের নতুন দূত মঙ্গলবার বঙ্গভবনে নিজেদের পরিচয় দিতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আশাবাদ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপতি বলেছেন, থাইল্যান্ড, ব্রুনেই দারুসসালাম এবং মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্য। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ব্রুনেই দারুসসালাম ও থাইল্যান্ড তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”  

এর আগে থাইল্যান্ডের দূত আরানরাং পোথং হামফ্রেস এবং ব্রুনেই দারুসসালামের হাই কমিশনার হারিস বিন ওসমান তাদের পরিচয়পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে দেন।

থাই দূতকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।

দু’দেশের বিদ্যমান বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

ব্রুনেই দারুসসালামের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্ব দেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রুনেই দারুসসালাম সফরের কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ওই সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে।

প্রেস সচিব জানান, দুই দূতই রাষ্ট্রপতিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন সম্প্রসারণের আশ্বাস দেন।

দুই দূতই রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা চান।