৪টি হজ এজেন্সিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

হজের বিমান টিকেটে সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি আদায় করায় চারটি ট্রাভেল এজেন্সিকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2019, 01:13 PM
Updated : 25 June 2019, 03:31 PM

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।

জরিমানা করা হয়েছে হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলস ইনকর্পোরেশন এবং গোল্ডেন বেঙ্গল ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসকে।

সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছিল এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে।

“সরকার বিমান টিকেটের মূল্য এক লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এসব ট্রাভেল এজেন্সি এক লাখ ৪৩ হাজার টাকা থেকে এক ৫৮ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছিল। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই জরিমানা করা হয়েছে।”

এ বছর প্রতি হজযাত্রী থেকে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে এক একটি ট্রাভেল এজেন্সি কমপক্ষে ১০০টি টিকেট থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টিকেট বরাদ্দ পাওয়ার কথা।

নয়াপল্টনের কাজী টাওয়ারের সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠানটি সরকার নির্ধারিত ৩০০ টিকেটের মধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৩ হাজার ২০টি টিকেট বরাদ্দ নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেছে বলে আদালত প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায়।

সানশাইন ট্রাভেলসের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জোর করে বা সিন্ডিকেট করে টিকেট বরাদ্দ নিইনি। যারা বেশি টিকেট সেল করে, সৌদি এয়ারলাইন্স তাদেরকে বেশি টিকেট বরাদ্দ দিয়ে থাকে।"

তারা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের বেশি কোনো টিকেট বিক্রি করেন না বলে দাবি করেন আনিছুর।

হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল চার হাজার ৮০০টি টিকেট, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস এক হাজার ৬০০ টিকেট, গোল্ডেন বেঙ্গল তিন হাজার ৭০৮টি টিকেট বরাদ্দ নিয়েছে বলে জানান সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, “এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের বিভিন্ন নিয়ম কানুন লঙ্ঘন করে হজযাত্রী কাছে টিকেট বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন। পাশাপাশি তারা অতিরিক্ত টিকেট বরাদ্দ নিয়েছেন।”

এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী যাচ্ছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব হজযাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশ বিমানে ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজযাত্রী বহন করবে।