যোগ্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী

যোগ্য সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির আশ্বাস আবারও দিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2019, 07:48 PM
Updated : 24 June 2019, 07:48 PM

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আলোচনায় তিনি বলেন, “সরকার সম্পদ সীমিত হওয়া সত্ত্বেও ৪টি শর্তের ভিত্তিতে যোগ্য বিবেচিত সকল প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

শিক্ষামন্ত্রী যে ৪টি শর্তের কথা তুলে ধরেন, তা হল- প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি থাকা, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

বাছাই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ইনপুট দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা হয়েছে, যেখানে কারও হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।”

এমপিওভুক্ত নিয়ে দীপু মনি বলেন, “কাউকে বঞ্চিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।”

তিনি বলেন, “আমরা শুনতে পাই, পত্রিকায় রিপোর্ট হয়- কোনো কোনো শিক্ষক টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন নোট বই, গাইড বই, শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করেন। স্কুলে না পড়িয়ে বাধ্য করেন তাদের কোচিংয়ে পড়তে। সেই কারণে দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হয়। যে শিক্ষকেরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমরা নিশ্চয়ই তাদের রিওয়ার্ড করতে চাই না।”

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যেখানে যোগ্য বিবেচিত হয়নি। আমরা চেষ্টা করি কিভাবে সেগুলোকে উন্নত এবং যোগ্য করে তোলা যায়। এখানে কেউ কেউ বলতে পারেন এমপিও দিলে পরে যোগ্য হবে। তাহলে যারা নিজেদের যোগ্য করেছে তাদের প্রতি তো অবিচার হয়। যোগ্য আর অযোগ্য সবাইকে সমান দিলে যোগ্যতার কদর কোথায় থাকে?

“সংসদ সদস্যদের অনুরোধ জানাতে চাই- আপনাদের এলাকায় যেসব প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিবেচিত হয়নি সেগুলোর দিকে আমরা সবাই মনোযোগ দিলে নিশ্চয়ই অদূর ভবিষ্যতে তারা যোগ্য হয়ে উঠবে। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যোগ্য হয়ে উঠবে।”

‘তিন মাস আগে টাকা লুট হয়’

বাজেটে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ হলেও তা বাস্তবায়িত হয় না অভিযোগ করে সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুল মতিন খসরু বলেছেন, “বাজেটে আমরা অনেক বেশি বেশি বরাদ্দ করছি। কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারি না। বছর শেষে শোনা যায়, ৭০ শতাংশ ব্যয় করতে পারেনি।

“তিন মাস আগে লুটপাট শুরু হয়। কোনো কোনো আমলা বলেন, স্যার টাকা তুলে রাখছি। আরে ভাই তুলে রাখেন কেন? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো বছরের প্রথমেই টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। বছরের শেষে তো দিচ্ছেন না। আমরা দেখতে চাই আপনারা বাস্তবায়ন করছেন।”

সাবেক আইনমন্ত্রী খসরু বলেন, “বাজেটে আমরা অনেক বেশি বেশি বরাদ্দ করছি। ইটস ভেরি গুড। কিন্তু সক্ষমতা বাড়াতে হবে বাজেট বাস্তবায়নে।”

তিনি বলেন, “আমাদের কে কী সমালোচনা করল, এটা বড় বিষয় নয়। তাদেরকে গুরুত্বে আনার কোনো বিষয়ও নেই। বিএনপি ইজ নো মোর ফ্যাক্টর। বিএনপি তো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা বিএনপিকে অ্যাটাক করছি কেন? আমরা আমাদের কেন অ্যাটাক কর

“ছি না? আমাদের অ্যাটাক হলো আমাদের সক্ষমতা, ক্যাপাসিটি। হাউ টু বিল্ড। কিভাবে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় শতভাগ বরাদ্দ ব্যয় করতে পারে।”