টিআইবি যা বলছে, পরিস্থিতি ওরকম না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

জনপ্রশাসন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনকে ‘ঢালাও অভিযোগ’ হিসেবে দেখছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2019, 12:46 PM
Updated : 25 Dec 2019, 11:21 AM

টিআইবির প্রতিবেদনে যেসব দাবি করা হয়েছে- বাস্তব পরিস্থিতি সে রকম নয় বলেও তিনি দাবি করেছেন।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে টিআিইবির প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আগের দিন প্রকাশিত ‘জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার: নীতি ও চর্চা’ শীর্ষক ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে টিআইবি দাবি করে, জনপ্রশাসনে পদায়ন ও পদোন্নতিতে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রধান্য পাচ্ছে, মেধা উপেক্ষিত থাকছে। এমনকি বিধিমালায় না থাকলেও পদোন্নতিতে গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল বলেন, “রিপোর্টটি আমি এখনও দেখিনি, আমাদের হ্যান্ডওভারও করেনি। নিউজে যেটুকু আসছে, আপনারা যেমন জানেন আমিও জানি। তবে (টিআইবি) তারা যেটা ঢলাওভাবে বলেছেন, (পরিস্থিতি) ওরকম না, আমাদের কাজগুলো ওরকম না।”

টিআইবি বলেছে, বিধিবিধান অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য সম্পদের হিসাব দিতে হয়। এরপর প্রতি পাঁচ বছর পর পর সেই তথ্য হালনাগাদ করার বিধান থাকলেও তা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে শফিউল বলেন, “এটা আমরা দিয়েছি, অনেক দিন চাওয়া হয়নি, চাওয়া হলে দিতে হবে, এটা নিয়ম। এটা জনপ্রশাসন হিসাব রাখে। পাঁচ বছর পর চাইলে দেবে এটাই নিয়ম, না চাইলে দেওয়ার কথা নয়।”

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ মনে হয় এই সময়ে সবচেয়ে কম। আমরা অল্প কয়েকজন আছি, খুবই কম, মিনিমাম নাম্বার।”

প্রশাসনে উপরের দিকে বেশি পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণের সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, “আমাদের রিক্রুটমেন্ট সেই পরিমাণ (শূন্য পদ) ফিলাপ করতে পারছে না। একজন সহকারী কমিশনার পাঁচ বছরের মাথায় ইউএনও হয়ে যায়। মাঝখানের পদগুলো ফাঁকা থেকে যায় … যার যোগ্যতা হয়ে যায় সে ইউএনও হয়ে যায়, সে তখন ছোট পদে কাজ করবে কেন?”