সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘উগ্রবাদ দমনে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা সমাজের সব স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এদিক থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে মেয়র বলেন, এজন্য ডিএনসিসির ২৪টি খেলার মাঠের সংস্কার কাজ চলছে। এ সব মাঠে রাতেও যাতে খেলাধুলা করা যায় সেজন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এ জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসায় সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজনের পরামর্শ দেন মেয়র।
সেমিনারে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছাড়া পুলিশের কাজে সফলতা আসতে পারে না।
“২০১৬ সালের পহেলা জুলাই মর্মান্তিক হলি আর্টিজান দুর্ঘটনায় সারা জাতি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আমরা দমে যাইনি। সিটিটিসি সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের শেকড় টেনে তুলেছে। নিয়ন্ত্রণ করেছে কঠোরভাবে।”
ভিশন-২০৪১ অর্জন করতে হলে টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
সেমিনারে উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম, উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন।