সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন, “এটা নিয়ে আর প্রশ্ন করবেন না, প্রশ্ন করলে আমি বলব, দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে।”
আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বলে রোববার জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।
আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে বাদ দিয়ে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে দায়িত্ব দেওয়ার ১০ দিনের মাথায় এই অনুসন্ধান শেষ হল।
গত ৯ জুন একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এর সপক্ষে তাদের ‘কথোকথনের’ কয়েকটি অডিও ক্লিপও সংবাদমাধ্যমকে দেন তিনি।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে মিজানের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১০ জুন তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক। এর পরদিন ১১ জুন ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ সময় ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনুসন্ধান শেষ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে কমিশনে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত আপনারা জানবেন। আকাশে চাঁদ উঠলে আপনারা সবাই দেখবেন।”
এ বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে আর প্রশ্ন করবেন না, প্রশ্ন করলে আমি বলব দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে।”
ডিআইজি মিজান এই অভিযোগ থেকে কোনোভাবে দায়মুক্তি পেতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “এসব বিষয় নিয়ে এ ধরনের প্রশ্ন করা ঠিক না। দায়মুক্তি কি না এটা তো ইন্টারন্যাল ব্যাপার। প্রমাণ আমলের ব্যাপার।
“আমরা দেখছি, আপনারা যতই গুতান না কেন আমরা ইমোশনালি চার্জড হব না। কারও বিরুদ্ধে হুট করে মামলা করা আমাদের উচিত হবে না। সেটা ঠিক না।”