আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভ্যাপসা গরমের এই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বিক্ষিপ্তভাবে’ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান তাপপ্রবাহও কমে আসবে। ধীরে ধীরে বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সেখানে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা, ফরিদপুর, চাঁদপুর, ভোলা অঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে গত কয়েক দিন ধরে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, “দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার ঘটতে থাকায় বাতাসে এখন প্রচুর জলীয় বাষ্প। তাই অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ অতিক্রম করে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
শাহীনুল বলেন, “ইতোমধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী তিন দিন এটা অব্যাহত থাকবে। এরপরে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সিলেটে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ কমে আসবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের বাকি অংশেও দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার ঘটবে।