রাইডশেয়ারিং কোম্পানির লাইসেন্স ১ জুলাই থেকে

নীতিমালা অনুমোদনের প্রায় দেড় বছর পর ১ জুলাই থেকে অ্যাপভিত্তিক রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

ওবায়দুর মাসুম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2019, 12:41 PM
Updated : 20 June 2019, 12:59 PM

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মো. লোকমান হোসেন জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৈঠকে জুলাই থেকেই ‘রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে’ লাইসেন্স দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রাইড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও নীতিমালা না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারছিল না বিআরটিএ। এজন্য গতবছর ১৫ জানুয়ারি বিআরটিএর প্রণীত ‘রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭’ অনুমোদন করে সরকার, যা ওই বছরের ৮ মার্চ থেকে কার্যকরের কথা ছিল।

ওই নীতিমালায় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের জন্য লাইসেন্স (এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট) নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলেও নীতিমালার শর্ত পূরণ না হওয়ায় কাউকে লাইসেন্স দেওয়া যায়নি।

এর মধ্যে গত ১৩ জুন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পর্যালোচনা সভায় এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এখন রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো সব শর্ত পূরণ করেছে কিনা জানতে চাইলে লোকমান বলেন, “তাদের পক্ষ থেকে মোটামুটি সব শর্ত‌ই পূরণ করা হয়েছে।  

“কিন্তু অ্যাপ থেকে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্পলাইনে (৯৯৯) কল করার ব্যবস্থা নিয়ে একটু ঝামেলা ছিল। পুলিশের যে কাজটা করার কথা ছিল সেটা করতে পারেনি। এখন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সেটা ছাড়াই লাইসেন্স দেওয়া হবে।”

জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রাইডশেয়ারিং অ্যাপগুলোর সঙ্গে ৯৯৯ যুক্ত হবে বলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একেক প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ্লিকেশন একেক রকম। একারণে সমন্বয় করতে সমস্যা হচ্ছিল। আমরা সবার সঙ্গে বসে এটা ঠিক করতে কাজ করছি। এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।”

এছাড়া রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ভ্রমণের দূরত্ব অনুযায়ী সবোর্চ্চ ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

লাইসেন্সের জন্য গত বছরের ২২ এপ্রিল প্রথম আবেদন করে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা পাঠাও। পরে ওভাই সলিউশনস লিমিটেড, উবার বাংলাদেশ লিমিটেড, পিকমি লিমিটেডসহ ১৬টি কোম্পানি আবেদন করে।

আবেদন পাওয়ার পর ১০টি কোম্পানির কার্যক্রম পরিদর্শন করে বিআরটিএ। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে রাইড শেয়ারিং নীতিমালার কিছু ধারা পূরণ না করায় লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু কোম্পানিগুলোর সেবাও বন্ধ করা হয়নি।

এই প্রেক্ষাপটে গত ৯ জানুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বরাবর একটি চিঠিতে সবগুলো শর্ত পূরণে ‘প্রয়োজনীয় সময়’ দিয়ে লাইসেন্স দেওয়ার দেওয়ার প্রস্তাব করে বিআরটিএ।