ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় ৭৫ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিসিয়ার জারভিস উপকূলে ছিল মিশরের নৌকাটি; এর আরোহীদের মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশি বলে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছিল। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
লিবিয়া থেকে যাত্রা করা এসব অভিবাসীদের সাগরে তিউনিসিয়ার জলসীমায় মিশরের নৌকাটি উদ্ধার করলেও অভিবাসী কেন্দ্রগুলোতে স্থান সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে নৌকাটিকে তীরে ভিড়তে দেয়নি তিউনিসিয়া।
নৌকার আরোহীদের খাবার এবং ওষুধ দিতে চাইলেও তারা সেসব নিতে রাজি হননি জানিয়ে তিউনিসিয়ার কর্মকর্তারা বলছিলেন, তারা ইউরোপে ঢুকতে দেওয়ার সুযোগ চাইছিলেন।
রয়টার্স বুধবার জানিয়েছে, নৌকাটির আরোহীরা নিজ দেশে যেতে রাজি হওয়ার পর তাদের কূলে ভিড়তে দেওয়া হয়েছে এবং ওই দলে থাকা ৬৪ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মোঙ্গি স্লিম রয়টার্সকে বলেন, “এক কঠিন পরিস্থিতিতে তিন সপ্তাহ সাগরে আটকে থাকার পর অবশেষে নৌকাটিকে তীরে ভিড়তে দিয়েছে তিউনিসিয়া। অভিবাসীরাও তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে সম্মত হয়েছে।”
ওই নৌকার বাকি যাত্রীদের মধ্যে একজন মরক্কো, ৯ জন মিশর এবং একজন সুদানের নাগরিক বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
এদের মধ্যে সুদানের নাগরিক আশ্রয় চাওয়ায় তাকে রেখে অন্যদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে তিউনিসিয়া সরকার।
তিউনিসিয়ার জলসীমায় আটকে থাকাদের উপকূলে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির একটি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রধান লরেনা লান্ডো।
তিনি বলেন, “সাগরে ভাসমান এইসব অভিবাসীদের সবাই মিলে সহায়তা করা খুবই জরুরি।”
ইউরোপের স্বপ্নে লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা শুরুর পর গত ৩১ মে থেকে তিউনিসিয়ার জলসীমায় আটকে ছিল এই নৌকার যাত্রীরা।
গত মাসে ইউরোপে ঢোকার উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসীয় উপকূলে এসে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৫ অভিবাসীর মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৪০ জনই ছিলেন বাংলাদেশি।
২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে ভূমধ্যসাগরে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় পড়ে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল সম্প্রতি আফ্রিকার অভিবাসীদের জন্য ইউরোপে ঢোকার সুযোগ হয়ে উঠেছে। তবে লিবিয়ার জলসীমারক্ষিদের সহায়তায় মাদক পাচারকারীদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার পর থেকে অভিবাসীদের এই জলপথ ব্যবহার কমে এসেছে।
আরও খবর