প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের এক গোলটেবিল বৈঠকে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সের যে কোনো অনলাইন পণ্য কেনাবেচায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
বৈঠক থেকে আগামী ৫ বছরের জন্য ই-কমার্স খাতকে ভ্যাটমুক্ত করার দাবি জানান বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
তিনি বলেন, “ভার্চুয়াল বিজনেস বা ডিজিটাল কমার্সের উপর ভ্যাট শূন্য শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে, যা বিকাশমান এই খাতের অগ্রগতির জন্য অন্তরায়। আমরা বিকাশমান এই খাতের জন্য অন্তত আগামী ৫ বছরের জন্য পুনরায় ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানাই।”
ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, “আমাদের সংগঠনে এক হাজার সদস্য রয়েছে। আমরা ই-কমার্স সেক্টর বলতে শুধু অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছে, তাদের বোঝাতে চাচ্ছি।
“ডিজিটাল মার্কেটিং এক ধরনের ই-কর্মাস। আমরা শুধু যারা অনলাইনে ব্যবসা করছি, তাদের ভ্যাটমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মার্কেট অন্যান্য মার্কেটের চেয়ে আলাদা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পণ্য পাঠালে যে খরচ হয়, তা এখনও বেশি। এ ব্যবসার আকার বাড়লে এসব সহজলভ্য হবে। ক্রেতাদের ডিজিটালি আগ্রহ তৈরি করতে পারলে এখাত আরও বড় হবে।”
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, “আমাদের ই-কমার্স খাত অগ্রসরমান একটি খাত। ক্রমবর্ধমান এই খাতে শূন্য থেকে সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট আরোপ এ খাতের অগ্রগতি ব্যাহত করবে।”
বেসিস পরিচালক এবং বেসিস ডিজিটাল কর্মাস স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সরকার প্রাধিকার দিচ্চে। ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপ এ খাতকে অগ্রসর হতে দেবে না। সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট পরিবর্তন করে এ খাতকে আগের মতো ভ্যাটমুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বেসিসের ডিজিটাল কর্মাস স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “আমাদের দেশের মানুষ অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্থ হতে শুরু করেছে। অনলাইনে কেনাকাটায় ভ্যাট আরোপ করলে বেশি দামে মানুষ আর অনলাইনে কেনাকাটা করতে চাইবে না। ই-কমার্স গ্রাহক হারাবে। ক্রমবর্ধমান এ খাত স্থবির হয়ে পড়বে।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়শপ ডটকম, বাগডুম ডটকম, আজকের ডিল ডটকম, অথবা ডটকম, চালডাল ডটকম, হাংরিনাকি ডটকম, রকমারি ডটকম, পিকাবু ডট কম, সেবা এক্সওয়াইজেড, আইফ্যারি ডটকম, ই-ভ্যালি, ডেলিগ্রাম, প্রোপার্টি বাজার লিমিটেডের কর্মকর্তারা।