রোহিঙ্গা সঙ্কট: সৌদিতে রাষ্ট্রদূত মসীহর কূটনৈতিক উদ্যোগ

রোহিঙ্গাদের ফেরতে নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিলেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2019, 06:45 PM
Updated : 18 June 2019, 06:55 PM

মঙ্গলবার রিয়াদে সৌদি আরবে কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের এক করেন তিনি; তাতে তিনি নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে বাংলাদেশের দাঁড়ানো এবং এই সঙ্কটের আশু সমাধানের গুরুত্ব তাদের সামনে তুলে ধরেন।

রিয়াদের র‌্যাডিসন হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে ৬০টি দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন বলে দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে সার্বিক বিষয় শুনে এই সঙ্কট নিরসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

মিয়নমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে দুই বছর আগে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে এখানে রয়েছে আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গা।

মানবতার স্বার্থে ভিনদেশি এই নাগরিকদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিলেও নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বলে আসছে ঢাকা। 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও রাখাইন প্রদেশে তাদের জন্য নিরাপদে বসবাসের প্রতিশ্রুতি পূরণে দেশটির সরকার গড়িমসি করছে।

সেকারণে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ; তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত মসীহের এই পদক্ষেপ নিলেন।

মসীহ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতা প্রদর্শন করে তাদের (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া ও খাবারসহ অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়।”

মিয়ানমারের ভূমিকা কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরে তিনি বলেন, “মিয়ানমার বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন দীর্ঘায়িত করছে এবং পরিষ্কারভাবে অনীহা প্রকাশ করেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ অসহযোগিতা করছে বলেও মিয়ানমান অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘে উত্থাপিত শেখ হাসিনার ৫ দফার গুরুত্বও কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন মসীহ।

মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে রাষ্ট্রদূতদের সহযোগিতা চান তিনি।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা সঙ্কটের সময়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত মসীহ।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক আবাসিক প্রতিনিধি খালেদ খলিফাও বক্তব্য রাখেন।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে তিনি মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান বলে দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।