তিনি বলেছেন, “দুই-একটা কেন্দ্রে সামান্য একটু গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছে দুষ্টু লোকজন। কিন্তু তারা সফল হয়নি।”
পঞ্চম ধাপে মঙ্গলবার ২০ উপজেলার ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকায় নির্বাচনে ভবনে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার সময় একথা বলেন আলমগীর।
এবার দেশের প্রায় পাঁচশ উপজেলায় পাঁচ ধাপে ভোটগ্রহণ হয়। গত১০ মার্চ শুরু হওয়ার পর ১৮ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ৩১ মার্চ সাড়ে চারশ উপজেলায় ভোট হয়।
মঙ্গলবার ২০ উপজেলায় ভোটের মধ্যদিয়ে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মোটামুটি সম্পন্ন হল।
শেষ ধাপের ভোট নিয়ে ইসি সচিব বলেন, “ভালো, খুব ভালো। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই। সামান্য একটু সমস্যা হয়েছিল। কয়েকটি ঘটনা ছাড়া বাকি উপজেলাগুলোতে ভোট মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে।”
যেসব উপজেলায় গণ্ডগোল বেঁধেছিল, তাও ইসির তৎপরতায় সামাল দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
“যেমন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কেন্দ্রে ইভিএম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেটা পারেনি। তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এরপর অল্প কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। ইভিএম রি-ইনস্টল করে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
“একটা উপজেলায় কিছু লোকজন জোর করে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা পাঁচটা ব্যালট পেপারে জোর করে ভোট দিয়েছিল। ওই পাঁচটা ভোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।”
যেসব উপজেলায় ভোট হয়েছে
শেরপুরের নকলা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর, গাজীপুর সদর, নেত্রকোণার পূর্বধলা, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নাটোরের নলডাঙ্গা, রাজশাহীর পবা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, মাদারীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, নোয়াখালী সদর, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও খুলনার ডুমুরিয়া।
চতুর্থ ধাপে ৩১মার্চ ছয়টি উপজেলায় এবং ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।
পঞ্চম ধাপে চারটি উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়।
ইসি সচিব বলেন, “ফলাফল দ্রুত দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।”
আরও খবর