সোহেল তাজ ও সৌরভের পরিবারের সংবাদ সম্মেলনের পরদিন মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কামাল বলেন, “যেহেতু পুলিশ উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, উদ্ধার হয়ে যাবে।”
গত ৯ জুন চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজ হন সৌরভ। তিনি বন্দর নগরীর পাঁচলাইশে বাবা-মার সঙ্গে থাকেন; ঢাকায় ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভাসির্টিতে পড়াশোনার পর চট্টগ্রামের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
সৌরভের পরিবারের অভিযোগ, ঢাকার এক ব্যবসায়ীদের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এর পেছনে সরকারি কোনো বাহিনীর কর্মকর্তাদের হাত রয়েছে বলেও সন্দেহ সোহেল তাজের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের কাছ থেকে শুনে পুলিশ কমিশনারকে যা বলার বলে দিয়েছি। তিনি (সিএমপি কমিশনার) কাজ করছেন, হয়ত তার খোঁজ পাওয়া যাবে এবং তিনি বেরিয়ে আসবেন।”
আসাদুজ্জামান কামাল মনে করেন, সৌরভ নিজেও কোথাও গিয়ে থাকতে পারেন, আবার তাকে কেউ তুলেও নিতে পারে।
“এখানে দুটোই তো হতে পারে, সে (সৌরভ) কোনো স্থানে গিয়ে থাকতে পারেন কিংবা কেউ নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। যদি কোনোখানে যেয়ে থাকেন, তিনি এর মধ্যে ফিরে আসবেন। আর তা না হলে জিডি মূলে আমাদের পুলিশ, পুলিশ কর্মকর্তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের বিভিন্ন থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বার্থে’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন প্রতিটি থানায় দুজন এসআই, ২০ জন কনস্টেবল থাকত। একজন এসআই থানার দায়িত্ব পালন করত। আর এখন একটি থানায় ৪০জন কনস্টেবল, ২০ থেকে ২৫ জন এসআই থাকে। ওসির দায়িত্ব পালন করে একজন পরিদর্শক।
“দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জনস্বার্থে আমরা যে কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারি। তবে এটা চলমান প্রক্রিয়া, এ ধরনের সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও সংস্থাগুলোর মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
মন্ত্রণালয়ের এই বিভাগের অধীনে রয়েছে কারা অধিদপ্তর, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই বিভাগের সাফল্যের হার ছিল ৯৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের হার এখনও আসেনি, তবে তা ৯৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।