সোমবার সকালে ঢাকার বনশ্রীর একটি বাড়ি থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
ইয়াবার সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডেও জড়িত বাবুকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল সিআইডি। কিন্তু বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যুর খবর শুনে তারাও ধাঁধাঁয় পড়েছিল।
জান্নাত আরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাড়ে ৩ বছর আগে ইয়াবা ব্যবসার বিরোধ নিয়ে টঙ্গীতে লিটন নামে এক গাড়ির হেলপার খুন হন। তখন এই খুনে জড়িত হিসেবে ‘ঠাণ্ডা বাবু’র নাম আসে।
হত্যাকাণ্ডের পর টঙ্গী থানায় দায়ের মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সিআইডির উপর। তারা মূল আসামিকে ধরতে অভিযানে নামার পর এলাকার মানুষের কাছে শুনতে পান, বাবু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
সিআইডি কর্মকর্তা জান্নাত আরা বলেন, “কিন্তু কোথায় এবং কাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেল বা তার লাশই বা কোথায়, এমন সব প্রশ্নের জবাব মিলছিল না।”
এতে সন্দেহ হলে নতুন করে খোঁজ চালিয়ে সিআইডি নিশ্চিত হয়, বাবু বেঁচে আছে এবং ঘনঘন বাসা পরিবর্তন করছে।
সিআইডি কর্মকর্তা জান্নাত আরা বলেন, “চতুর ঠাণ্ডা বাবুকে ধরতে রাজধানীসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে অভিযান চালালেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানোর পর দেখা যায়, সে সটকে পড়েছে। ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে শুধু একটি তোষক ও পানির বোতল।”
এমন কয়েকটি অভিযানে বিফল হলেও হাল ছাড়েননি সিআইডি কর্মকর্তারা।
“এবার একটি খবরের ভিত্তিতে ভিন্ন কৌশল নিয়ে আগে থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ বনশ্রীর একটি বাসার আশেপাশে ওঁৎ পেতে থাকে এবং দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে থাকে। এতে আজ সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ইয়াবা ও অস্ত্র মামলার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের আসামি বাবুকে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসবাদ করা হবে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।