ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বৈঠক। মোমেন পাঁচ মাস আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সাবেক কূটনীতিক জয়শঙ্কর মন্ত্রী হলেন গত মাসেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের হোটেল সেরিনায় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে তারা দুজনই পারস্পরিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তা আরও গভীর করার উপর জোর দেন।
বৈঠকে মোমেন তিস্তা চুক্তি সম্পাদন ও সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থনও আশা করেন তিনি।
“ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে,” বলা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন জয়শঙ্কর।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ক ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ-বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুসমূহ সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশসমূহের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে জয়শঙ্করের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।