বুধবার রাজধানীতে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “শিশুদের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দিবেন না। এতে তাদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা বাধাগ্রস্ত হবে। শিশুদের অশুভ প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিবেন না।
শিশুদের দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “মনে রাখবেন, যে কোনো বিষয়ের স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার ভিত্তির উপর। যার ভিত্তি যত শক্ত তার স্থায়িত্ব তত বেশি। তাই ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন। তাদেরকে দেশ ও জাতির সঠিক ইতিহাস জানতে দিন।
“অন্যের বা ভিন দেশের প্রভাব প্রতিপত্তির প্রতি আকৃষ্ট না করে আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে গর্ব করতে শেখান। অন্যের পায়ে না দাঁড়িয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শেখান। দেখবেন তাহলে তারা আত্মনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল হয়ে বড় হয়ে উঠবে, যা একটি দেশ ও জাতির উন্নয়নে অপরিহার্য।”
“কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তা হতে দেয়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে। অগ্রগতির যাত্রাপথে তোমাদেরও শরিক হতে হবে। নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে যোগ্য অংশীদার হিসেবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিজেদের জীবনে লালন করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে শিখবে। অন্যায় ও অসত্যের সাথে কখনও আপস করবে না। সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে চলবে, তাহলেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।
পরে শিশুদের পরিবেশনায় সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেন রাষ্ট্রপতি।