সোমবার সিআইডির এসআই প্রশান্ত কুমার শিকদার বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় সাত বিদেশির বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার আইনে এই মামলা করেন।
এই সাতজনই ইউক্রেনের নাগরিক। তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই বিদেশিরাসহ সংঘবদ্ধ দেশি-বিদেশি জালিয়াতি চক্রটি ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে তা স্থানান্তর করেছে, যা মানি লন্ডরিং আইনের ৪(২) ধারা অপরাধ।”
সিআইডি আসামিদের হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য বের করার চেষ্টা করবে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার বিদেশি ছয়চন হলেন দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। পলাতক ব্যক্তি হলেন ভিতালি ক্লিমচুক।
নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তোলার সময় এদের একজনকে এ মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে পান্থপথের একটি হোটেল থেকে বাকি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই গত ২ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খিলগাঁও থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডাচ বাংলা কর্তৃপক্ষ।
ওই মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। ডিবি ছয় আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতিও নিয়েছে। তবে তাদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
বাংলাদেশে এর আগে এটিএম বুথে জালিয়াতি হলেও এবারের ঘটনা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন ধরনের। এক্ষেত্রে জালিয়াতরা এটিএম মেশিনের সিস্টেম হ্যাক করে টাকা তুলে নেয়।
এর আগে গ্রাহকের কার্ডের তথ্য চুরি করে ক্লোন কার্ড বানিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটলেও মূল সার্ভারকে অন্ধকারে রেখে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে না নিয়ে বুথ থেকে টাকা বের করার ঘটনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম।