সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সালে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
কাদের বলেন, “এবার মৃত্যু ৬০ থেকে ৬৬, গতবারের তুলনায় কম দুর্ঘটনার হার। যতটা দুর্ঘটনার হার সে তুলনায় মৃত্যুটা বেশি। মৃত্যুর হারটা বেশি এ কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা লেগুনাজাতীয় ইজিবাইক-এইসব গাড়ি থেকে হয়েছে।
“এসব যানে এক্সিডেন্ট হওয়া মানে এ গাড়ির কেউ থাকে না। বারবারই একই কথা বলি, জীবিকার জন্য জীবনের কথা চিন্তা না করে মহাসড়কে নেমে ছোট ছোট গাড়ি চালায়.. বড় গাড়ির সাথে ছোট গাড়ির সংঘর্ষ হলে বেশি মৃত্যু হয়। এজন্য দুর্ঘটনার চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।”
কাদের বলেন, এবার যাত্রাপথ স্বস্তিদায়ক থাকলেও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা সন্তোষজনক পর্যায়ে যায়নি।
নসিমন করিমন ইজিবাইক বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “যারা এ গাড়িগুলো ব্যবহার করে বিকল্প না থাকায় ব্যবহার করে। যদিও আমরা ফিডার রোড ব্যবহার করতে বলি। হাইওয়েতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। বিকল্প চিন্তা করছি আমরা, কীভাবে গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সব কিছু বিচার-বিবেচনা করে চিন্তাভাবনা করবো।”
“সিএনজি ভাড়া নিয়ে যে অভিযোগ ছিল রাইড শেয়ারিং নিয়ে তেমন অভিযোগ আসেনি, তবে বিআরটিএকে এ বিষয়টিকে কঠোরভাবে দেখতে বলা হয়েছে।”
সড়ক পরিবহন আইন কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এখানে অন্য কোনো সমস্যা নেই। এ নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছিল। এরপর আইনমন্ত্রী-স্বারষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছি, কোনো প্রকার অ্যাডজাসমেন্ট করার সুযোগ আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। এর পর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”
কী ধরনের অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “আইন যেটা হয়ে গেছে, আইনের মধ্যে বিধি-প্রবিধি হতে পারে। বিধি-প্রবিধি করে দাবিনামার সাথে সংগতি রাখা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এখানে নাথিং ইজ ফাইনাল, দাবি মেনে নেওয়া হবে তেমন না।”
আড়াই মাস অসুস্থ থাকায় অনেক কাজ পিছিয়ে গেছে এবং এখন থেকে বিষয়গুলো কাজ এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
এবার ঈদে পরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য ৫ লাখ ২২৬ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।