কৃষি শুমারিতে তথ্য দিলেন রাষ্ট্রপতি

চলমান কৃষি শুমারিতে নিজের খানার তথ্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2019, 01:37 PM
Updated : 9 June 2019, 01:37 PM

রোববার বঙ্গভবনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের উপস্থিতিতে শুমারিতে নিজের তথ্য দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার শুরু হওয়া এই শুমারির আওতায় ২০ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ চলবে বলে মন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন। তিন মাসের মধ্যে শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং ছয় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এই শুমারির আওতায় গ্রাম শহর নির্বিশেষ প্রত্যেকটি খানার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রায় দেড় লাখ তথ্য সংগ্রহকারী এই কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সারাদেশে কৃষি শুমারি-২০১৯ পরিচালনা করছে। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে এই শুমারি পরিচালিত হবে।

প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি হয়। পরিসংখ্যান আইনে জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

১৯৬০ সালে প্রথমবার নমুনা আকারে দেশে কৃষি শুমারি হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম কৃষি শুমারি হয় ১৯৭৭ সালে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কৃষি শুমারি হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে শুমারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শুমারি পরিচালিত হলে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কৃষি শুমারি ২০১৯ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি শুমারির তথ্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, এই শুমারি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে, বিশেষ করে কৃষির উন্নয়নে যথাযথ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণে ইতিবাচক অবদান রাখবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।