রোববার সকালে ঢাকার রাস্তায় গণ পরিবহনের সংখ্যা ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। ফলে স্টপেজে এসে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে।
এর মধ্যে সকাল থেকে কয়েক পশলা বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েক গুণ।
সকাল পৌনে ৮টায় শান্তিনগর মোড়ে কথা হয় সরকারি চাকুরে টিটু মিয়ার সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মুশফিক শ্যামলী থেকে যাবেন মহাখালী। তিনি জানালেন, বৈশাখী আর মধুমতী পরিবহনের বাস চলছে। কিন্তু আসছে অনেক দেরি করে। আর যেভাবে যাত্রী ভর্তি করে আসছে, তাতে আর ওঠার উপায় থাকছে না।
এবার রোজার ঈদের ছুটি ছিল ৪ থেকে ৬ জুন। তার আগে ২ জুন ছিল শবে কদরের ছুটি। মাঝখানে ৩ তারিখ যারা ছুটি নিতে পেরেছেন তারা দুই দিকে শুক্র-শনি মিলিয়ে নয় দিনের ছুটি পেয়ে গেছেন।
ঈদের আগে পরে বাড়তি ছুটি থাকায় এবং মহাসড়কে যানজট না থাকায় এবার ঈদযাত্রা হয়েছে তুলনামূলকভাবে স্বস্তিতে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে শনিবার থেকেই ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ।
মেরুল বাড্ডা এলাকায় আকাশ পরিবহনের চালক ইদ্রিস আলী বললেন, ঈদের মধ্যে ঢাকার অনেক বাস আশপাশের বিভিন্ন জেলায় গেছে ‘খ্যাপ’ মারতে। তাই রাজধানীতে বাস এখনও তুলনামূলকভাবে কম। তবে ঢাকার বাইরে যাওয়া বাসও ফিরতে শুরু করেছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
শ্যামলী মোড়ে বৈশাখী পরিবহনের বাস চালক মাহমুদ বলেন, “বাস ছাড়তাছে আস্তে। অনেক ড্রাইভার ঈদের ছুটি কাটাইতাছে। প্যাসেঞ্জারই তো কম… কাইল-পরশু এইরম থাকব না।”