এ কে খন্দকারের বইটি তুলে নিল প্রথমা

এ কে খন্দকার ভুল তথ্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার একদিন বাদেই তার লেখা ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রথমা প্রকাশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2019, 04:22 PM
Updated : 2 June 2019, 04:29 PM

রোববার প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাফর আহমদ রাশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বইটি প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।

বীর উত্তম এ কে খন্দকারের চাওয়া মেনে বইটি প্রত্যাহারের কথা জানালেও তার অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলেনি প্রথমা প্রকাশন।

এ কে খন্দকারের অভিযোগ, বইটি প্রকাশের পর ভুল সংশোধনের অনুরোধ করলেও তখন সাড়া দেয়নি প্রথমা প্রকাশন। 

মুক্তিবাহিনীর উপঅধিনায়ক এ কে খন্দকার ২০১৪ সালে প্রথমা থেকে প্রকাশিত বইটিতে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি শেষ করেছিলেন ‘জয় পাকিস্তান’ বলে।

বইটি প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়লেও নীরব ছিলেন শেখ হাসিনার ২০০৯-১৪ সরকারের মন্ত্রী এ কে খন্দকার।

সাড়ে চার বছরের নীরবতা ভেঙে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের লেখা বইয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেছেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলেননি।

প্রথমা প্রকাশন বইয়ের ৩২ পৃষ্ঠার বিতর্কিত অংশটুকু বাদ দিয়ে পুনঃমুদ্রণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কে খন্দকার।

ওই সংবাদ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে প্রথমা প্রকাশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সেখানে তিনি বলেছেন, এই বইয়ের একটি অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে তিনি একটি ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন। সে ভুল তথ্যসহ পুরো অনুচ্ছেদটি তিনি বইটি থেকে প্রত্যাহার করে নিতে চান।

“১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ বইয়ের লেখক এ কে খন্দকার। তার বইয়ের যে কোনো অংশ গ্রহণ-বর্জন- পরিমার্জনের পূর্ণ অধিকার তার আছে। লেখকের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা বইটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে  নিয়েছি।”

সংবাদ সম্মেলনে এ কে খন্দকার

সংবাদ সম্মেলনে একে খন্দকারের স্ত্রী ফরিদা খন্দকার স্বামীর পক্ষে বলেছিলেন, বইটি প্রকাশের পর তথ্য সংশোধন করতে চাইলেও প্রথমা প্রকাশনের কারণে তা করতে পারেননি।

“বইটি প্রকাশের পরের দিনই ও (এ কে খন্দকার) এবং আমি সংশোধন করার কথা ভাবি। কিন্তু উনারাই আমাদের তা করতে দেয়নি। বরং তারা বলেছেন, বন্দুকের গুলি একবার ছুড়লে আর তার পিছনে ছুটে লাভ কী!

“এরপর প্রথমা প্রকাশনের প্রকাশক মতিউর রহমানকেও আমি ফোনে চেষ্টা করি, কিন্তু পাইনি। একবার পেয়ে বলি যে, এত বড় ভুল কীভাবে হল? তখন তিনি বললেন, ‘এটা তো আমি দেখি না। এর বানান, ব্যাকরণগত ভুল এগুলো দেখার জন্য আলাদা লোক আছে’। এরপর আর তাকে পাইনি, আর সংশোধনও করতে পারিনি।”