ঈদযাত্রার ভিড়ের মধ্যে ঝড়ো হাওয়ার কারণে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে সব ধরনের নৌযান চালাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বৈরি আবহাওয়ায় কারণে বেলা পৌনে ১১টার দিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি পারাপারও বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি-বাতাসের দাপট কমে এলে বেলা ১২টার দিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি পারাপার আবার শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় ঢাকা সদরঘাট থেকেও সব ধরনের লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ-এর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকা নৌ বন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। এই সংকেতে এমনিতে ৬৫ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের লঞ্চ চলাচল করতে পারে।
“কিন্তু ঝড়ো হাওয়ার কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল কিছু সমময় বন্ধ রাখা হয়। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় দুপুরে আবারও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
এরপর বেশ কয়েকটি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্দেশনার কারণে সেগুলো ঘাটেই আটকে থাকে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে সদরঘাটে লঞ্চ ধরতে আসা যাত্রীদের থাকতে হয় অপেক্ষায়।
পরে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে আবারও লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু হয় বলে পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার জানান।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য আমিনুল ইসলাম জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে পদ্মা উত্তাল হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা এড়াতে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোডসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়ার উন্নতি হলে বেলা ১২টায় আবার পারাপার শুরু হয়।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম জানান, ফেরি পারাপার কিছু সময় বন্ধ থাকলেও তেমন যানজট তৈরি হয়নি। এবার সব মিলিয়ে ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।