এ তিন আসামি হলেন- ফেনী সদরের মজলিশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তজু (৬৭), বরইয়া গ্রামের মো. আবু ইউসুফ (৭১) ও উত্তর গোবিন্দপুরের নুর মোহাম্মদ ওরফে নুর আহমদ (৭৩)।
এদের মধ্যে তোফাজ্জল ও ইউসুফ পলাতক। নুর মোহাম্মদকে নীলফামারী সদরের ছিট ইটখলা থেকে গত ২০ মে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, “একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ উঠে এসেছে তদন্তে।”
১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মানবতাবিরোধী এসব অপরাধ সংঘটিত হয় বলে জানান তিনি।
তিন আসামির রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে হান্নান বলেন, “তোফাজ্জল হোসেন ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রসংঘের রাজনীতি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ফেনী সদরের রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।”
পরে বিএনপিতে যোগ দেওয়া তোফাজ্জল এক সময় বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক ছিলেন।
“আবু ইউসুফ ও নুর মোহাম্মদ মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী হিসেবে ফেনী সদর রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তারা এখনও জামায়াতের রাজনীতির সাথেই আছেন,” বলেন হান্নান।
২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তিন তিনজনের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুর রশিদ।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে ৯১ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্তের সময় ২১ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হবে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক ছাড়াও অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।